মালদা ও ফরাক্কা: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। আদা-জল খেয়ে জনসংযোগে নেমেছেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। ঐতিহ্য মেনে কখনও মন্দিরে তো কখনও ইদগাহে মাথা ঠুকছেন। টেক্কা দিতে চলছে শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বও। শনিবার প্রচারে বেরিয়ে ফুলবাড়ি পাকুরতলা রাম মন্দিরে ঢুকে রামের স্মরণাপন্ন হতে দেখা গেল কংগ্রেস প্রার্থী (Congress Candidate) ইশাখান চৌধুরীকে (Isha Khan Choudhury)। কপালে কাটেন তিলকও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘রামচন্দ্র কোনও দলের সম্পত্তি নন। ছোট থেকেই আমি সেকুলার ভাবধারায় বড় হয়েছি। বরকত জ্যেঠু বরাবর শুভ কাজের আগে মনস্কামনা মন্দিরে পুজো দিতেন। আমিও মনোনয়ন দাখিলের আগে পুজো দিয়ে ও দরগায় চাদর দিই। আজ প্রচারে বেরিয়ে রাম মন্দির দেখে ভিতরে যাই। আমাকে আশির্বাদ হিসেবে তিলক দিয়েছেন।’
নারীশক্তিকে ইস্যু করে নির্বাচনি প্রচারে নামলেন বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী (Sreerupa Mitra Chaudhury)। গোলাপি শাড়িতে গোলাপি গাড়ি নিয়ে প্রচার চালান ইংরেজবাজারের বিধায়ক। শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে প্রচার চালাতে দেখা যায় নির্ভয়া দিদিকে। পোস্ট অফিস মোড় থেকে তিনি মোথাবাড়ির দিকে এগিয়ে যান।
শ্রীরূপার বক্তব্য, ‘গোলাপি নারী শক্তির রং। প্রায় তিন দশক আগে আমরা মহিলাদের নিয়ে গোলাপি গ্যাং তৈরি করেছিলাম। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করত, প্রতিরোধ করত। এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা উত্তরবঙ্গের একমাত্র মহিলা হিসেবে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। মহিলাদের একত্রিত করে নারীশক্তি একত্রিত করতে এই গাড়িতে গোলাপি রং করে প্রচার চালাচ্ছি।’
এদিন সকালে ব্যান্ড বাদ্যি সহকারে শহরের পিয়াজিমোড় থেকে রোড-শো শুরু করেন তিনি। তিরঙ্গা ও লাল পতাকার মিছিলে ভর্তি ছিল রাস্তা। হায়দারপুর, মীরচক, মনস্কামনা রোড মহেশমাটি হয়ে নেতাজি মার্কেট কালিমন্দিরে এসে মিছিল শেষ হয়। বাম নেতা বাবর সরকার বলেন, ‘মালদার দুটি আসনেই কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে বামফ্রন্ট। কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে আমরা সর্বত্রই একযোগে প্রচার চালাচ্ছি।’
এদিকে, সারাদিন নির্বাচনি প্রচারের ব্যস্ততার ভিড়েও এলাকাবাসীকে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। সংবাদিকদের বলেন, ‘বহু পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্য কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত মানুষ বাইরে থাকেন। ইদ বা পুজোতে তাঁরা ঘরমুখি হন। সবাইকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আপনারা প্রত্যেকে ঘরে ফিরে আসুন।’ বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি তাঁর বক্তব্য, ‘মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছি। শ্রমিকরা যাতে বর্ধিত মজুরি পান, সেজন্য মালিকদেরকেও বলেছি শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বসে তাড়াতাড়ি বিষয়টার নিষ্পত্তি করুন।’