শিলিগুড়ি: প্রতিদিনই অভিনব উপায়ে সাইবার জালিয়াতির শিকার হচ্ছে ছাত্রীরা। কারও ছবি-ফোন নম্বর ব্যবহার করে নকল প্রোফাইল তৈরি করে ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্বের আহ্বান জানানো হয়েছে। আবার কারও নকল প্রোফাইল তৈরি করে নিকটাত্মীয়কে মেসেজ করা হচ্ছে। আবার কখনওবা ছাত্রীদের ছবি অশ্লীলভাবে এডিট করে তাদের সাইবার ফাঁদে ফেলে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। এমন নানা ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে ছাত্রীদের।
যেমন, একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির প্রশিক্ষণ নিতে ফোন নম্বর সহ সব নথি জমা দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির একটি স্কুলের ছাত্রী। সেই তথ্যই ব্যবহার করে কে বা কারা ওই ছাত্রীর নকল সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করে বলে অভিযোগ। যাতে স্ট্যাটাস দেওয়া হয় ওই ছাত্রী ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী। পরে পুলিশে অভিযোগ হলে গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত। তবে সবক্ষেত্রে সবাই পুলিশে যেতে চায় না। এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জানায়, তাঁর নকল প্রোফাইল বানিয়ে কেউ তাঁর আত্মীয়কে মেসেজ করত। পুলিশে জানানোর হুমকি দিলে অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাকটিভেট করে দেওয়া হয়। বিষয়টির গুরুত্ব অনুভব করে বৃহস্পতিবার পুলিশ, সাইবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলে একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অত্যুহা বাগচীর কথায়, আমাদের স্কুলের চারজন সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝেই সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্তর কথায়, প্রত্যেকের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল দুটি পদক্ষেপে লক করে রাখতে হবে। যাতে তা হ্যাক করা সম্ভব না হয়। চেনা পরিচিত কারও বন্ধুত্ব করার আবেদন গ্রহণ করার আগে প্রোফাইলটি ভাল করে দেখতে হবে। সেটি যাতে অন্তত ছয় মাস পুরোনো হয়। ফোন বিক্রি করার আগে সমস্ত তথ্য বের করে নিতে হবে। তাছাড়া, কেউ প্রতারণার শিকার হলে পুলিশের পাশাপাশি ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালের হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০-এ যোগাযোগ করতে হবে।