বালুরঘাট: বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি সব নির্দেশিকা পূরণ করতে না পারায় চলতি বছরে জেলার ছয়টি বেসরকারি বিএড কলেজ পড়ুয়ারা ভর্তির অনুমোদন পেল না। এদিকে অনুমোদন না পেলেও বেশিরভাগ কলেজেই ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে ধন্দে ভর্তি হওয়া পড়ুয়ারা। এমনকি কলেজের শিক্ষকরাও আতঙ্কে রয়েছেন। অন্যদিকে, অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুমোদন পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছেন বেশ কয়েকটি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে পালটা সরব হয়েছেন বিজেপি। অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট ১৭টি বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। যেখানে সব মিলিয়ে ১২০০ আসন রয়েছে। প্রত্যেক বছর এই কলেজগুলির বেশিরভাগ আসন পূরণ হয়ে যায়। এবারেও চলতি বর্ষে ভর্তি পক্রিয়া শেষ হয়েছে। বেশিরভাগ কলেজে আসন অনুযায়ী ভর্তি হয়ে গেছে পড়ুয়ারা। অন্যান্য বছর পড়ুয়া ভর্তির অনুমোদনে সমস্যা না হলেও এবারে একাধিক নির্দেশ মানায় জেলায় ৬টি বিএড কলেজ পড়ুয়া ভর্তির অনুমোদন পায়নি। যার মধ্যে রয়েছে বালুরঘাটের একটি, তপনের দুটি, গঙ্গারামপুরের একটি, বুনিয়াদপুর ও কুশমণ্ডির একটি করে কলেজ রয়েছে।
এদিকে ছয়টি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয় প্রায় শেষ হয়ে গেছে। ছয়টি কলেজ মিলে ৪০০টি আসন রয়েছে। এই ৪০০ জন পড়ুরার ভবিষ্যতে অন্ধকারে। কলেজে ভর্তি হলেও তারা এখন কী করবেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে ধন্দ। বালুরঘাটের তেভাগা টিচার্চ ট্রেনিং কলেজ ৫০, তপনের বলিপুকুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ৫০ ও দক্ষিণ দিনাজপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ১০০, গঙ্গারামপুর ফান্ডামেন্টাল ইন্সটিটিউট অফ টিচার্স ট্রেনিং ১০০, বুনিয়াদপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ৫০ এবং কুশমণ্ডি আজাদ ডিএড ট্রেনিং কলেজ ৫০টি আসন রয়েছে। এদিকে বেশ কয়েকটি কলেজের মালিকরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সরকারিভাবে প্রত্যেক কলেজের কাছ থেকে তিনটি গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে একটি হল প্রত্যেক কলেজে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে, নির্দিষ্ট অনুপাতে পড়ুয়া পিছু শিক্ষক রাখতে হবে এবং তৃতীয় কলেজের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে বেনিফিসারির অ্যাকাউন্ট ডাইরেক্ট টাকা দিতে হবে। যারা এই তিনটি গাইডলাইন মানেনি তারাই এবারের ভর্তির অনুমোদন পায়নি। রাজ্যে এমন কলেজের সংখ্যা ২৫৩টি।