কালিয়াচকঃ একাদশ শ্রেণীর এক মেধাবী ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াচক থানার সুজাপুর বাজার এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ছাত্রের নাম আবদুর রহমান। বাড়ি কালিয়াচক থানার সুজাপুরে। সে একটি আবাসিক মিশনে একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞানের ছাত্র। ছাত্রের বাবা হুমায়ুন শেখ ব্যবসায়ী।
গতকাল অর্থাৎ শনিবার একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পরীক্ষা দেওয়ার পরে বাড়িতে চলে আসে ওই ছাত্র। রাত্রে তাঁর বাবার সঙ্গে খাওয়া দাওয়া সেরে নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যায় আবদুর। কিন্তু আজ সকালে তার ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে তাঁরা দেখতে পান ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি তাঁকে সুজাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে কালিয়াচক থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মালদা মেডিকেল কলেজে।
মৃতের এক প্রতিবেশী শারিফ শেখ জানান, আমরা ঘরে গিয়ে একটি সুইসাইড নোট দেখতে পেয়েছি। লিখেছে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তার মোবাইল ফোনও ঘেঁটে দেখেছি। এখানেও সেরকম কিছু দেখতে পাওয়া যায়নি। তাহলে আবদুর কেন এমন কাণ্ড ঘটালো বোধগম্য হচ্ছে না।
মৃতের বাবা হুমায়ূন শেখ বলেন, ছেলে আবাসিক মিশনে লেখাপড়া করত। শনিবার পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরেছিল। সব ঠিকঠাকই ছিল। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সে ঘুমাতে যায় নিজের ঘরে। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হচ্ছিল। তাই আমি ঘর খুলতে গেলাম। ঘর খুলে আমি চমকে যায়। দেখি সাইন্স নিয়ে লেখাপড়া করা আমার ছেলেটা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে রয়েছে। আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না কেন এমন হল!