তুফানগঞ্জ: যে সরকার কেন্দ্রের পাঠানো একশো দিনের টাকা না পাঠালে ঠিকমতো খেতে দিতে পারে না। সে সরকার রেখে লাভ কী? মঙ্গলবার তুফানগঞ্জের কমিউনিটি হলঘরে আয়োজিত ভারতীয় জনতা পার্টির হ্যান্ডলুম এবং উইভার সেলের উত্তরবঙ্গ জোন সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে এই প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে বিদায় দেওয়ার কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি জানান, কৃষিকাজের পর যদি কোনও শিল্প থাকে সেটা কুটির শিল্প। প্রাচীন মহাকাব্য বেদে যার উল্লেখ রয়েছে। অথচ রাজ্য সরকার তাঁত শিল্পীদের সেভাবে সহযোগিতা করছে না। যার জন্যই এখনকার তাঁত শিল্পীরা বাইরে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিজেপি একমাত্র রাজনৈতিক দল, যে সবকা বিকাশ করতে পারে। করোনাকালে আমেরিকা আমাদের দেশকে বলেছিল ভ্যাকসিন কিনতে, কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি তা করেননি। তিনি আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের ভ্যাকসিন তৈরি করতে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভ্যাকসিন তৈরিতে সফল হলে নাম হবে আপনাদের। আর খারাপ হলে বদনাম হবে আমার। যে ভ্যাকসিন প্রধানমন্ত্রী যেমন নিজেও নিয়েছেন। তেমনি আপনারাও পেয়েছেন। কোচবিহারের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষও নিয়েছেন। তিনি কারও সাথে কম বেশি কিছু করেননি।
সুকান্ত জানান, প্রধানমন্ত্রী বাইরের দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে অন্যরকমের সম্মান পান। যা দেশের মানুষের জন্য গর্বের। এদিনের ভারতীয় জানতা পার্টির হ্যান্ডলুম এবং উইভার সেলের উত্তরবঙ্গ জোন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায়, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, ফালাকাটার বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন ভারতীয় জনতা পার্টির হ্যান্ডলুম এবং উইভার সেলের স্টেট কনভেনার অনল বিশ্বাস, জেলা কনভেনার অজয় দাস সহ অন্যরা। এদিন কোচবিহার জেলার বড় শৌলমারি আশ্রম পরিদর্শনও করেন সুকান্ত মজুমদার।