গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুরে বালি পাচারচক্র (Sand traffic) নিয়ে বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালি পাচারের থেকে উপার্জিত অর্থ তৃণমূলের নির্বাচনি ফান্ডে যাচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বালিচুরির টাকা থেকেই কি আসছে @AITCofficial এর নির্বাচন লড়ার পয়সা?? প্রশাসন এবং পুলিশকে সাথে নিয়েই চলছে এই কুকর্ম??দেখুন কিভাবে গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীতে অবাধে চলছে বালি চুরির কাজ। ধিক্কার @MamataOfficial #shameonmamata #shameontmc pic.twitter.com/UMefBnHJO4
— Dr. Sukanta Majumdar ( মোদীজির পরিবার ) (@DrSukantaBJP) March 28, 2024
এ প্রসঙ্গে গঙ্গারামপুরে (Gangarampur) এক দলীয় কর্মসূচিতে এসে সুকান্ত বলেন, ‘তৃণমূল যেখানে যা পায় তাই বিক্রি করে দেয়। এখানে কয়লা নেই, তাই এখানে বালি বিক্রি করছে। এরা বেচা (বিক্রি) ছাড়া কিছু বোঝেনা। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বিধায়ক আছেন, তার নাম বেচারাম মান্না, তার নামানুসারে তৃণমূল দলের নাম বেচারাম কংগ্রেস করে দেওয়া উচিত।’
সুকান্ত মজুমদার তোপ দেগে বলেন, ‘প্রশাসনিক নিষ্ক্রীয়তা দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে, এই পাচারের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও বড় নেতা জড়িত আছেন। এই পাচার চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের পাশাপাশি গঙ্গারামপুরে দু-একজন সাংবাদিক জড়িত বলেও জানতে পারছি। তারাও এইসব অবৈধ কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তদন্ত করে অবিলম্বে অভিযুক্তদের জেলে ঢোকানো উচিত। অবৈধ বালিচক্র নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামীতে হাইকোর্টে গিয়ে সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন জানাবো। আপাতত ডিএমের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেবো।’
তবে বালি পাচার নিয়ে সুকান্তবাবুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র (Biplab Mitra)। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা সত্যি যদি হয়, তাহলে তা নিশ্চয়ই দু-একদিনে হয়নি। গত পাঁচ বছরে সুকান্তবাবু চুপছিলেন কেন? এখন কেন হাইকোর্টে গিয়ে সিবিআই তদন্তের কথা বলছেন? নির্বাচনে চলছে বলে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন তিনি। ইলেকশন ফান্ডিং করবার জন্য এসব যদি করা হয়ে থাকে, তাহলে এসব বন্ধ করেননি কেন? আসলে এগুলো অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সুকান্ত মজুমদার এসব করছেন।’
প্রসঙ্গত, পুনর্ভবা নদী থেকে অবাধে বালি পাচারের খবর এদিন উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত হতেই তীব্র আলোড়ন পড়ে। এদিন গঙ্গারামপুর শহর সংলগ্ন বানগড়ের উলটোপাশে পুনর্ভবা নদীঘাটে বিশেষ অভিযান চালায় বিএল অ্যান্ড এলআরও দপ্তর এবং গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। তবে ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।