রাহুল মজুমদার, ফুলবাড়িঃ শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল সন্ত্রাস, রবিবারও অব্যাহত ছিল শাসকের দাপাদাপি। কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌছতেই বদলে গেল সন্ত্রাসের চিত্র। ঘটনাটি রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের জুম্মাগছ এলাকার। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। এমনকি গ্রামের বহু সিপিএম-কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িও ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। সব মিলিয়ে সন্ত্রাসে জখম হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন শাসক ও বিরোধী শিবিরের সমর্থক। গ্রামের ৩০টি পরিবার বর্তমানে ঘরছাড়া বলেও দাবি বিরোধীদের।
এই জুম্মাগছেই আজ হচ্ছে পুনর্নির্বাচন। গতকাল রাতেই বুথের দখল নিয়ে নেয় কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানরা। আজ সকালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বুথে পৌঁছে যায় ভোটকর্মীরাও। কাল রাতে ও আজ সকালেও গ্রামে টহল দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সন্ত্রাসের আতঙ্ক কাটিয়ে আজ সকালে ফের বুথ মুখো হতে দেখা যায় ভোটারদের। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এদিন সকাল থেকেই ভোট দিতে ভিড় জমায় সাধারন মানুষ। এখনও পর্যন্ত জুম্মাগছে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহন চলছে।
অতি স্পর্শকাতর এই বুথে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানরা। সকাল থেকেই জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা দফায় দফায় যান জুম্মাগছে। পুরো বুথটিই রয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। যদিও সকালে ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।