শালকুমারহাট: আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া সাউথ রেঞ্জের শালকুমারহাট রাভা বনবস্তি থেকে এবার রাকেশ্বরী রাভা নামে একজন ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। এর আগেও এই বস্তি থেকে এক, দু’জন করে পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু এখনও বস্তির কেউ বিএ পাশ করতে পারেননি। উচ্চশিক্ষায় এমন অনীহার কারণ জানতেই বুধবার বস্তিতে আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষামূলক সমীক্ষা করতে যান ফালাকাটা কলেজের ইতিহাস বিভাগের ৭০ জন পড়ুয়া। সঙ্গে অধ্যাপক, অধ্যাপিকারাও ছিলেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ চলে। তবে সমীক্ষার রিপোর্ট এদিন প্রকাশ্যে আসেনি।
দিনভর বস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পড়ুয়ারা বুঝতে পারেন যে, কর্মসংস্থান ও সচেতনতার অভাবেই উচ্চশিক্ষার প্রতি রাভাদের আগ্রহ নেই। তরুণরা কলেজে ভর্তি হলেও মাঝপথে পড়া ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজের জন্য চলে যান। আর কলেজে ভর্তি হলেও মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়। এই বস্তিতে ৮৫টি পরিবারের বসবাস। জনসংখ্যা প্রায় ৫০০।
বস্তির গৃহবধূ মালতি রাভা জানান, এখানকার বেশিরভাগ পুরুষ বাইরে কাজ করেন। সব বাড়িতে আর্থিক সংকট। তাই ছেলেরা পড়া ছেড়ে কাজে চলে যায়। আর মেয়েদের বিয়ে হয়। তবে সমীক্ষায় আসা কলেজ পড়ুয়ারা এমন ভাবনায় বদল আনতে চান। এদিন তাঁরা বাড়ি বাড়ি সবাইকে সচেতন করেন। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাকেশ্বরী রাভা বলেন, ‘আমার বাবা কেরলে কাজ করে। আমি বিএ পাশ করতে চাই। এবার কলেজে ভর্তি হবো।’