উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বসানো হয় একটি ফলক। সেই ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বাদ দিয়ে ফলকে রয়েছে আচার্য নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। বিষয়টির প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তীব্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও চিঠি লিখেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। এই বিতর্কে শামিল হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিজের ‘ইগো’ থেকে বেরিয়ে ফলক বদলের পরামর্শ দিয়েছেন শুভেন্দু।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পাওয়ার পরই বিশ্বভারতীতে ফলক বসানো নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে একটি শ্বেতপাথরের ফলক বসায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই ফলকে আচার্য নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুতের নাম থাকলেও নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। ফলক ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি ইউনেসকোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর থেকেই এর কৃতিত্ব পেতে উঠে পড়ে লেগেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেয় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও শান্তিনিকেতন আশ্রম সঙ্ঘ। এমনকী ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি লিখে অভিযোগ জানায় প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার ফলক ইস্যুতে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের তীব্র বিরোধীতা করল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল বলেছে বলে আমি চুপ থাকব, এমন তো নয়। উপাচার্য যদি এই ফলক বসিয়ে থাকেন, তাহলে তা সংশোধন করা হোক।’ শুভেন্দু আরও প্রশ্ন করেছেন, ‘এটা নিয়ে উপাচার্যের এত ইগোর কী আছে? এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়। কতগুলি বিষয়ে বাংলা ও বাঙালির আবেগ ও শ্রদ্ধা রয়েছে। তা হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁদের সম্মান দেওয়ার বিষয়ে কোনও রকম জেদ থাকতে পারে না।’