উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শীতকালে (Winter) কেন পড়ুয়াদের জুতো (shoe) নেই? নজরে আসতেই দুই আদিবাসী প্রধান জেলার স্কুলগুলি পরিদর্শন করে এমন তথ্য তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। গত দু’দিন ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল (Central team) পরিদর্শন করেন বাঁকুড়া (Bankura) ও পুরুলিয়ার (Purulia) একাধিক স্কুল। এই নিয়ে তাঁরা একটি রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টে লেখা আছে তালড্যাংরার মুগাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের খালি পায়ে স্কুলে দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয়দলের এই রিপোর্ট নিয়ে সমালোচনা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya basu)।
রাজ্যের শিক্ষার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বুধ ও বৃহস্পতিবার তাঁরা পরিদর্শন করেন দুই আদিবাসী প্রধান জেলার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে বই থেকে শুরু করে পোশাক, জুতো এবং বড় পড়ুয়াদের সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এসে দেখতে পেয়েছেন, কনকনে ঠান্ডায় খালি পায়ে স্কুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে পড়ুয়ারা। তাঁদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তালড্যাংরার মুগাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের খালি পায়ে স্কুলে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিনিধি দলটি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু কাজও হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। এই রিপোর্ট নিয়ে সমালোচনা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই কেন্দ্রীয় দলকে তিনি ‘গেরুয়া রঙে রাঙানো’ বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন ‘আমরা যে ভাল কাজ করেছি, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন’।
পড়ুয়াদের জুতো সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় দলের অভিযোগ প্রসঙ্গে পড়ুয়াদের বক্তব্য, পোশাক প্রত্যেক বছর মেলে। কিন্তু জুতো ঠিক মতো মেলে না। তাই খালি পায়ে থাকতে হয়। আবার অনেকের পায়ের সঙ্গে জুতোর মাপে গণ্ডগোল হয়েছে। সেটা ফেরত গিয়েছে। আসতে সময় নিচ্ছে। এই বিষয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নন্দিতা সিনহার দাবি, ‘দু’বছর অন্তর জুতো বিলি হয়। এবছর এখনও জুতো আসেনি বলে বিলি করা হয়নি।’ তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, প্রায় ২ লক্ষ ৩৪ হাজার পড়ুয়ার জন্য জুতোর আবেদন জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, ‘মকর সংক্রান্তির মধ্যে সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা জুতো না পেলে আমি নিজেই দেব।’