নাগরাকাটা: খরস্রোতা গাঠিয়া নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হল এক চা শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। বুধবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চা শ্রমিকের নাম কুইলি ওরাওঁ। বাড়ি ভগতপুর চা বাগানের যে শ্রমিক মহল্লায়। তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। রয়েছে নাতি-নাতনিও। তাঁর মৃত্যুতে বাগানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল কুইলি তাঁর অসুস্থ বোনকে দেখতে লুকসান বাগানে যান। তাঁদের বাড়ির পাশেই গাঠিয়া নদী। ওই নদী পেরিয়ে গাঠিয়া চা বাগান হয়ে লুকসানে যাওয়ার শর্ট কার্ট রাস্তা রয়েছে। জল কম থাকলে এলাকার বাসিন্দারা গাঠিয়া বাগান কিংবা লুকসান যেতে সাধারণত ওই রাস্তাই ব্যবহার করেন। যাবার সময় কুইলি নিরাপদেই নদী পেরিয়ে বোনের বাড়িতে যান। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বোনকে নিয়ে ফের ওই পথেই বাড়ি ফিরছিলেন। নদী পেরোতে ভয় পাচ্ছে দেখে কুইলি সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ পাড়ে রেখে বোনের হাত ধরে তাঁকে ওপারে পৌঁছে দেন। এরপর ফের ওপারে গিয়ে থলে হাতে নদী পেরিয়ে বোনের কাছে আসার সময় ঘটে বিপত্তি। সম্ভবত পা পিছলে টাল সামলাতে না পেরে তিনি পড়ে যান। নদী সে রাতে উত্তাল না থাকলেও চোরাস্রোত গাঠিয়ার বরাবরের। নিমেষের মধ্যে তিনি ভেসে যান। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। তবে রাত দুটো পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও কুইলির সন্ধান মেলেনি। অবশেষে এদিন সকাল ৯টা নাগাদ যেখানে তিনি ভেসে গিয়েছিলেন সেখান থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে একটি পাথরের মাঝে কুইলির দেহ উদ্ধার হয়।
নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ময়নাতদন্তের পর দেহ ফিরে এলে গাঠিয়ার পারেই চা শ্রমিকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।