উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আয়ার নৃশংসতায় প্রাণ গেল এক অশীতিপর বৃদ্ধার। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় অভিযুক্ত আয়া বেধরক পেটালেন বৃদ্ধাকে। এই ঘটনায় প্রাণ যায় তাঁর। গত ১১ সেপ্টেম্বর এমনই ঘটনা ঘটেছে কলকাতা বাগুইআটির এক অভিজাত আবাসনে। মৃতার পরিবারের তরফে প্রথমে স্বাভাবিক মৃত্যু ভাবা হলেও পরে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পরে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে আয়ার মারধরের কারণেই। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত আয়াকে।
অসহায়তার সুযোগ নিয়ে নৃশংসতা। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোয় এক বছর সত্তরের অসুস্থ বৃদ্ধাকে বেধড়ক পিটিয়ে মেরে ফেলল আয়া। বাগুইআটির অভিজাত আবাসনের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, গত সাত বছর ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন বৃদ্ধা। তাঁর সন্তানেরা ব্যবসা সূত্রে বাইরে থাকার কারণে বাগুইআটির আবাসনে বৃদ্ধাকে দেখভাল করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল দুই আয়াকে। গত ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৃদ্ধার ঘরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন পরিবারের লোকজন। তা দেখে শিউড়ে ওঠেন সকলে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁরা নিশ্চিত হন বৃদ্ধার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোর শাস্তি হিসাবে বৃদ্ধাকে নৃশংসভাবে পেটাচ্ছে আয়া সোফিয়া খাতুন। চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুষি কিছুই বাদ যায়নি। দুর্বল শরীর নিয়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ারও চেষ্টা করেন বৃদ্ধা। রাতভর আয়ার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই পরিবারের লোকেরা সিসিটিভি ফুটেজ সহ দ্বারস্থ হন বাগুইআটি থানায়। অভিযুক্ত আয়ার বিরুদ্ধে থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে পুলিশ ওই অভিযুক্ত সোফিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর জেরায় আয়া নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ঐশ্বর্য সাগর।