বক্সিরহাট,২২ ফেব্রুয়ারি: অবৈধভাবে কৃষিজমি থেকে মাটি খনন করে পাচার নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের তর্জা শুরু হয়েছে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বারকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিরহাট বাজার সংলগ্ন এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের মদতেই কৃষিজমি থেকে মাটি পাচার চলছে। অথচ সবকিছু জেনেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি উৎপল দাস। উৎপল লেখেন, হরিরহাট বাজার লাগোয়া এলাকায় কৃষিজমি খনন করে মাটি পাচার চলছে। ফলে কৃষিজমি ধ্বংসের দিকে। সেই সঙ্গে বাস্তুতন্ত্রেরও ওপর এর প্রভাব পড়ছে। কৃষি ও ভূমি দপ্তরের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চাষ করতে গিয়ে ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে টাকার জন্য বাধ্য হয়ে চাষের জমি মাটি মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেন কৃষকরা। আর্থমুভার দিয়ে একের পর এক চাষের জমি থেকে চলছে মাটি পাচার। ট্র্যাক্টরে করে তা আবার পৌঁছে যাচ্ছে পাশের একাধিক ইটভাটায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, চাষের খরচ বাড়লেও ফসলের দাম বাড়েনি। ফলে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করে লোকসানের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। তাই চাষাবাদের জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন তাঁরা। মাটি খননের ফলে যে গর্ত তৈরি হবে তাতে মাছ চাষ করবেন।
তবে বিজেপির আরও অভিযোগ, সবকিছু জেনেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে প্রশাসন। যদিও এ ব্যাপারে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক স্বপন হাঁসদা বলেন, ‘অনুমতিপত্র নিয়েই মাটি কাটা চলছে। তবে পাশের জমি মালিকের অনুমতি রয়েছে কি না, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত মাটি কাটা হচ্ছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এদিকে, কৃষিজমি খনন করে মাটি পাচারের অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তর্জা। এ ব্যাপারে উৎপল বলেন, ‘একদিকে কৃষিজমি রক্ষা নিয়ে প্রচার চলছে। সেই সঙ্গে শাসকদলের নেতারা জড়িত থাকায় কৃষিজমি খননের জন্য অনুমতি দিচ্ছে সরকার।
যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তুফানগঞ্জ-২ ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি নিরঞ্জন সরকারের পালটা মন্তব্য, ‘গত নির্বাচনে বারকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। সেখানে বিজেপির শক্তি বেশি। ফলে এক গোষ্ঠী মাটি কাটছে অপর গোষ্ঠী টাকার ভাগ পাচ্ছে না বলেই সোশ্যাল মিডিয়ার সরব হয়েছেন।’