বর্ধমানঃ নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি করতেই রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। শনিবার সকালে বর্ধমানে এসে এই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বোকা বানাচ্ছেন রাজ্যের মানুষকে। নিজের পরিচয় ব্যবহার করে সাধারন মানুষকে শোষণ করে সম্পত্তি বাড়িয়ে চলেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন যাত্রা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
শনিবার সকালে বর্ধমান পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি প্রথমে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। এদিন তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় ও তাঁর পরিবারকে। এদিন তিনি বলেন, ‘নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি করতেই রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। দুর্ভাগ্যের বিষয়, রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার নিজেদের সম্পত্তি বাড়িয়ে চলেছেন।’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘পুরীতে একটি হোটেল আছে যার যোগাযোগ করার কলকাতার ঠিকানা আর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানা একই। তিনি এদিন মোবাইলে সেই হোটেলের একটি লিংক খুলেও দেখান।
এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন যাত্রা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও পা ভাঙার অভিনয় করে, আবার কখনও সৌরভ গাঙ্গুলিকে দিয়ে রাজ্যে শিল্প গড়ার ঘোষণা করে। আশ্চর্যের, সৌরভ গাঙ্গুলি শিল্প ঘোষণা করলেন স্পেন থেকে। তিনি কলকাতা, দিল্লি বা মুম্বাই থেকে করতেই পারতেন। ক্রিকেটার থেকে তিনি শিল্পপতি হয়ে গেলেন। আমরা ভেবেছিলাম বাংলায় শিল্প করার কথা ঘোষণা করবেন স্পেনের কোনও শিল্পপতি। রাজ্যে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। দলে দলে ভিনরাজ্যে যাচ্ছেন কাজের সন্ধানে।
কংগ্রেসের পুরানো কর্মীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা আবেদন জানান সুকান্ত মজুমদার। এদিন ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বলেন, ‘বাংলায় তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন কংগ্রেসকর্মীরা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে মরতে হচ্ছে কংগ্রেস কর্মীদের। আসলে কংগ্রেস তৃণমূলের কাঁধে হাত রেখে খড়কুটোর মতো বেঁচে থাকতে চাইছে। নেতারা তৃণমূলের সন্ত্রাস ভুলে গিয়েছেন। তবুও পদলেহন করে চলেছেন। পুরানো কংগ্রেসকর্মীদের বলব, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যদি লড়তেই হয়, তবে বিজেপিতে আসুন।’