উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একসময়ের সিপিএমের গড় ছিল হুগলি জেলার আরামবাগ। যে আরামবাগের সাংসদ হিসেবে অনিল বসুর নাম রাজনীতির আঙিনায় নানা কারণে উজ্জ্বল। তবে এখন সেই রামও নেই অযোধ্যাও নেই। ২০১১ সালের পর থেকে হুগলি জেলাতে সিপিএম প্রান্তিক শক্তি। বরং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ধারা বলছে আরামবাগে শক্তি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া, গোঘাট এই চার বিধানসভায় পদ্ম ফুটেছে। তখনই স্পষ্ট হয়েছিল নিজেদের ভোট ধরে রাখতে পারেনি সিপিএম। তৃণমূল বিরোধী ভোটাররা বিজেপিকে অনেক বেশি বিশ্বস্ত মনে করেছেন। তাই পতপত করে গেরুয়া পতাকা উড়েছে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে। কিন্তু সেই আরামবাগেই খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার খেলায় নেমেছেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
বহু বছর পর মঙ্গলবার আরামবাগে সমাবেশ করল সিপিএম। শুধু সমাবেশ নয় রীতিমতো ভি়ড়ে ঠাসা সমাবেশে বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনলেন সাধারণ মানুষ। সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ স্বীকার করেছেন, ২০১১ সালের পর এত বড় সমাবেশ আরামবাগে হয়নি। তাও এটা শুধু মাত্র আরামবাগ, খানাকুল ও গোঘাটের জমায়েত। কিছু মানুষ এসেছিলেন পুরশুড়া থেকে। বাম নেতারা দাবি করেছেন, বিজেপিতে যাওয়া তাঁদের ভোটাররা আবার ফিরতে চলেছেন।
যদিও তেমনটা মানতে চায়নি বিজেপি। পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ জানিয়েছেন, বামেদের সভায় ভিড় হলে তা তৃণমূলকে ভাবাতে পারে, তবে বিজেপির ভোটাররা বিজেপির সঙ্গেই আছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দেখা গিয়েছে কিছুটা হলেও শক্তি বাড়িয়েছে বামেরা, তুলনায় দুর্বল হয়েছে বিজেপি। বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন থেকে সম্প্রতি সাগরদিঘির ভোট এমনটাই নজরে এসেছে সর্বত্র। পাশাপাশি কিছু সমবায় সমিতির ভোটেও ভাল ফল করেছে বামেরা। সব মিলিয়ে তাই আরামবাগের মতো এলাকায় মীনাক্ষীর সভায় ভিড় অক্সিজেন দিয়েছে ঝিমিয়ে পড়া দলীয় নেতৃত্বকে একথা বলাই যায়।