নয়াদিল্লি: লোকসভায় স্মোক ক্যান নিয়ে হামলার ঘটনায় গতকাল থেকে সারা দেশ তোলপাড়। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের গ্রেপ্তার হওয়ার তথ্য সামনে এসেছে। আরও বেশ কয়েকজনের কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দীর্ঘদিনের জমানো ক্ষোভ থেকেই এই হামলা। তবে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে এই হামলার এখনও কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য হাতে এসেছে, সেই অনুযায়ী, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা করেন অভিযুক্তরা। ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা হওয়ায়, ঘন ঘন দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি যদিও। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতেন তাঁরা। ‘ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব’ নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেজও খোলেন অভিযুক্তরা।
সূত্রের খবর, বছর দেড়েক আগে মহীশূরে একবার দেখা করেন তাঁরা। তারপর চলতি বছরের জুলাই মাসে, বাদল অধিবেশন চলাকালীন প্রথম বার সংসদে ঢোকার চেষ্টা করেন সাগর শর্মা নামে এক অভিযুক্ত। সেবার ব্যর্থ হলেও, থেমে থাকেননি তাঁরা। গত ১০ ডিসেম্বর দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে সকলে জড়ো হন। সেখানেই চূড়ান্ত আলোচনা করে নেন নিজেদের মধ্যে। স্মোক ক্যানিস্টারও নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন তাঁরা। এর আগেও সংসদের পরিস্থিতি রেকি করার উদ্দেশ্যে পুরনো ভবনে ঢুকেছিল অন্যতম অভিযুক্ত ডি মনোরঞ্জন। এই সাগর এবং মনোরঞ্জনই গতকাল লোকসভায় গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাইরে ছিলেন তাঁদের তিন সহযোগী, নীলম আজাদ, অমোল শিন্ডে এবং ললিত ঝা। নীলম এবং অমল গ্রেপ্তার হলেও, ললিত এখনও বেপাত্তা। ভিকি শর্মা এবং তাঁর স্ত্রী রাখি নামের আর এক মহিলাকেও আটক করা হয়েছে। ধৃতরা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, শিক্ষিত হয়েও চাকরি না পাওয়া, মণিপুরের মতো রাজ্যে লাগাতার অশান্তি, কৃষকদের অধিকার নিয়ে উদাসীনতা নিয়েই তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলেন। এই হামলায় ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সংসদভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।