উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে বাড়ছে নিরাপত্তা। সীমান্তে মোতায়েন করা হবে প্রলয় মিসাইল। মোট ১২০টি প্রলয় মিসাইল কেনার অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। গত ২০২১ সালের ২১ এবং ২২ ডিসেম্বর এই মিসাইলের সফল পরীক্ষণ হয়। পৃথ্বীর আদলে তৈরি হয়েছে ‘প্রলয়’। তবে পৃথ্বীর মিসাইলের তুলনায় হালকা এই প্রলয়। এই আবহে এই মিসাইলটি ব্যবহার তুলনামূলক ভাবে সহজ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই প্রথম স্বল্পপাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল সীমান্তে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা।
গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে বারংবার চিনা পিএলএ-র জেট বিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তবে চিনের এহেন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। কোনও ভাবেই এহেন আচরণ বরদাস্ত হবে না জানিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। এই আবহেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে প্রলয় মিসাইল কেনার প্রস্তাব পাঠায় সামরিক বাহিনী। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। এরপরই এই প্রলয় মিসাইল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে ১২০টি মিসাইল কেনা হবে। সবগুলিই মোতায়েন করা হবে চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে। এই অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন প্রয়াত সিডিএস বিপিন রাওয়াত। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে প্রলয় মিসাইলটি। প্রথমে বায়ুসেনা এবং পরে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই মিসাইলটি। ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে প্রলয়। আকাশেই বদলে ফেলা যায় লক্ষ্যবস্তু এবং গতিপথ। ১৫০-৫০০ কিলোমিটার দুরত্বে গিয়ে আঘাত হানতে পারে প্রলয়। বিস্ফোরক বহনের ক্ষমতা ৩৫০-৭০০ কেজি পর্যন্ত। ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণ করা যায় প্রলয় মিসাইল। শত্রুঘাঁটিকে পুরো গুঁড়িতে দিতে সক্ষম এই ক্ষেপনাস্ত্র। প্রলয় সলিড প্রপেলান্ট রকেট মোটর দ্বারা চালিত, এবং অনেক নতুন প্রযুক্তি রয়েছে এতে। এই আবহে সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনার জন্য কার্যকরী অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে প্রলয় মিসাইল।