উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে এবারও অনুমতি মিলল না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার। এই অবস্থায় বিকল্প জায়গায় পৌষমেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও খুশি ব্যবসায়ীরা।
শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে শেষবার পৌষমেলা হয়েছিল ২০১৯ সালে। এরপর বিশ্বভারতীতে ২০২০ সালে কোভিডের কারণে বন্ধ ছিল পৌষমেলা। এরপর বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আপত্তিতে ২০২১ এবং ২০২২ সালেও সেখানে পৌষমেলা হয়নি। এই কারণেই ২০২২ সালে বিকল্প জায়গায় পৌষমেলার আয়োজন করেছিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি, শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলার অনুমতি না দেওয়ায় ব্যপক তাণ্ডব চালিয়েছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ও শান্তিনিকেতনবাসীদের কথা মাথায় রেখে বিকল্প জায়গায় পৌষমেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
শান্তিনকেতনে পৌষমেলা নিয়ে শুক্রবার বৈঠক হয়েছে জেলা প্রশাসনের। বোলপুর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলাশাসক বিধান রায় এবং বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বীরভূম জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর মাঠে আয়োজন করা হবে পৌষমেলার। তবে প্রশাসনের তরফে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা করতে দেওয়ার জন্য। তাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেয় তাহলে পূর্বপল্লীর মাঠেই করা হবে পৌষমেলা। তা না হলে ডাকবাংলার মাঠে পৌষমেলা করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানান, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতিবছরের মতো এবারও পৌষমেলা হবে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তিনদিনের পৌষমেলা। সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মাঠ না দিলে ডাকবাংলোর মাঠে এই মেলা করা হবে।