কোচবিহার: ভুয়ো চিকিৎসকের হদিস মেলার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে কোচবিহারে। মঙ্গলবার শহরের ধর্মতলা এলাকায় ওই ‘ভুয়ো’ চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা ও রোগীরা। তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রতনচন্দ্র সরকার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কয়েকমাস ধরে তিনি ধর্মতলা এলাকায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। তার প্রেসক্রিপশনে নিউরো ফিজিশিয়ান, এমবিবিএস, এমডি (এইমস) লেখা রয়েছে। দালাল মারফত বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগী নিয়ে এসে তাঁদের ভুল চিকিৎসা ও প্রচুর পরিমাণে টেস্ট, ওষুধ লিখে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিশেষ করে অসম থেকে আসা রোগীরাই তার টার্গেট ছিল।
স্থানীয় কাউন্সিলর শুভ্রাংশু সাহার নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন ওই ‘ভুয়ো’ চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ করে দেন। শুভ্রাংশুবাবু বলেছেন, প্রায় ছয় মাস ধরে অভিযুক্ত এখানে প্র্যাকটিস করছেন। তাকে দেখে বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা তার কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু আজ দেখাব, কাল দেখাব করে তিনি আর দেখাননি। এরপর পুলিশ-প্রশাসনকে বিষয়টি জানান বাসিন্দারা। এদিন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
অসম থেকে আসা এক রোগী আব্দুল বাতেন মোল্লা বলেছেন, তিনি নার্ভের ডাক্তার দেখাবেন বলে কোচবিহারে এসেছেন। এক টোটোচালক তাকে এই ব্যক্তির কাছে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসা করানো হয়। ৫০০ টাকা ভিজিটের পাশাপাশি ৩৬০০ টাকার টেস্ট করানো হয়েছে।
এক রোগীর স্বামী সিদ্দিক আলি বলেছেন, এই ভুয়ো চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করানোর পর বিপুল টাকা খরচ হয়েছে। অথচ তার স্ত্রী সুস্থ তো হয়নি, উলটে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যদিও অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি রতনচন্দ্র সরকারের দাবি, তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। তিনি ভুয়ো নন। অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।