মালদা: পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিমানে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হল ১৯ বছরের যুবতি। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচকের নারায়ণপুর চর এলাকায়। মৃত যুবতীর নাম চন্দনা চৌধুরি। বাড়ি ইংরেজবাজারের শোভানগর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে পালিয়ে বিয়ে করে চন্দনা। স্বামী দিলসান চৌধুরি মৎস্যজীবী। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও একবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশাল ঝামেলা হয়েছিল। সেই সময় পরিবারের লোকজন দু’জনকে বুঝিয়ে আসেন। গতকাল দুপুরে বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সময় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ফের বিবাদ বাধে। সেই সময় নাকি চন্দনাদেবীকে মারধর করা হয়। অভিমানে চন্দনাদেবী বিষ খেয়ে নেন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল পরে মালদা মেডিকেলে ভরতি করা হয়। গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চন্দনাদেবীর মৃত্যু হয়।
চন্দনাদেবীর বাবা সূর্য চৌধুরি বলেন, “গতকাল রাত বারোটা নাগাদ জানতে পারি মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। শুনতে পেলাম জামাই মেয়েকে মারধর করেছিল। সেই কারণে মেয়ে বিষ খেয়ে নেয়। এর আগেও একবার মেয়েকে মারধর করা নিয়ে বড়সড়ো ঝামেলা হয়েছিল। আমি সেই সময় স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। সকলে বুঝিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু কি কারণে ওদের মধ্যে বিবাদ বাঁধত তা জানা নেই।” দিলসান চৌধুরির মা সন্ধ্যা চৌধুরি বলেন, “আমার আরেক ছেলের পা ভাঙা। চিকিৎসার কারণে আমি গতকাল পুরাতন মালদার একটি নার্সিংহোমে ছিলাম। খবর পেলাম বউমা বিষ খেয়েছে। কি কারণে বউমা বিষ খেল জানা নেই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক কথা কাটাকাটি হত। কিন্তু গতকাল কি হয়েছিল কিছুই জানি না।”