কোচবিহার: কোচবিহারের চকচকায় চার বছর আগে শিল্প করার জন্য জমি নিয়েছিলেন শিল্পপতিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গেল বাস্তবে এতদিন হয়ে গেলেও সেখানে ছয় থেকে সাতটি কারখানা গড়ে উঠছে। কয়েকটির কাজ চলছে। বাকি জমি নিয়ে ফেলে রেখেছেন শিল্পপতিরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর শিল্প ও কর্মসংস্থান করার চেষ্টা আটকে রয়েছে বিভিন্ন জটিলতায়।
কোচবিহার জেলার একমাত্র শিল্পতালুক চকচকা শিল্পবিকাশ কেন্দ্র। এখানে জুট পার্ক তৈরি করার জন্য ২৩ একর জমি ছিল। কিন্তু তা হয়নি। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে ২০১৭ সালে এই জমি সাধারণ শিল্প করার জন্য দিতে নির্দেশ দেন। ২৪ জন শিল্পপতি সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে জমি নেন পরবর্তীতে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের নির্মাণ শুরু করার সময় দেওয়া হয়। কিন্তু তা হয়নি। বেশ কয়েকবার সেই সময়সীমা বাড়ানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বর্তমানে সেখানে একটি রাইস মিল, মোবিল তৈরির কারখানা, প্লাস্টিক খেলনা তৈরির কারখানা, ডালমিল এবং চিঁড়ের মিল খোলা হয়েছে। দুটো ডালমিল, দুটো আটার মিল, একটি হিমঘর ও প্লাস্টিক পাইপের কারখানা তৈরির কাজ চলছে। বাকি যাঁরা জমি নিয়েছেন তাঁরা ফেলে রেখেছেন কয়েক বছর হল। কেন তাঁরা কিছু করছেন না সেটাই প্রশ্ন।
তবে কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সুন্দরলাল চোপড়া বলছেন, ‘কাগজপত্রের কাজে রাজ্য শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমে জটিলতা হচ্ছে। কোনও কাজ সময়মতো হয় না। নিয়মের আরও সরলীকরণ করা দরকার।’
রাজ্য শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চকচকার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘জমি নিয়ে যাঁরা ফেলে রেখেছেন তাঁদের জমি নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চকচকায় তিন থেকে চারজনের জমি ফেরত নিয়েছে দপ্তর।’