শিলিগুড়ি: গাড়িতে গবাদিপশু নিয়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সেই সমস্ত নিয়ম মোটেও মানা হচ্ছে না। মাংসের জোগানের জন্য প্রতিদিনই শহরে বহু গবাদিপশু নিয়ে আসা হয়। গাদাগাদি করে নিয়ে আসার জেরে গাড়িতেই বহু গবাদিপশুর মৃত্যু হয়। প্রাণীগুলির মৃতদেহ শহরের বিবেকানন্দ রোড এলাকায় আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এর জেরে পরিবেশ দূষণের (Pollution) অভিযোগ বাড়ছে। পাশাপাশি, ক্ষোভও ছড়িয়েছে।
৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার পিন্টু ঘোষ বললেন, ‘কোনওমতেই এই বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর কড়া নিন্দা করছি। পাশাপাশি, এ বিষয়ে যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই আর্জি জানাচ্ছি।’ শিলিগুড়ি পুরনিগমের জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মেয়র পারিষদ মানিক দে এ বিষয়ে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। ব্যবসার নামে এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধে প্রয়োজনে সমস্ত ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। প্রাণীসম্পদ দপ্তরের শিলিগুড়ির ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর তুফান মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘যা হচ্ছে তা ঠিক নয়। প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত।’ পরিবহণ দপ্তরের শিলিগুড়ি আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সূপর্ণ দে’র বক্তব্য, ‘যেভাবে গাড়িতে গবাদিপশু নিয়ে আসা হচ্ছে তা ঠিক নয়। বেআইনি এই কারবার রুখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।’
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, পণ্য পরিবহণকারী গাড়িতে গবাদিপশু তোলা হলে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রতিটি গবাদিপশুর জন্য গাড়িতে নির্দিষ্ট জায়গা থাকতে হবে, ঘেরা দেওয়া জায়গারও প্রয়োজন হয়। কিন্তু তা যে মানা হয় না তা বিবেকানন্দ রোডের ধারের ওই গাড়িগুলি খুঁটিয়ে দেখলেই পরিষ্কার বোঝা যায়। সমস্যা মিটবে কবে? কারও জানা নেই।