ডালখোলাঃ সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও ছাদ টপকে চুরি করতে গিয়েও শেষ রক্ষা হল না। দিনের বেলায় আইনজীবীর বাড়িতে চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়তে হল চোরকে। এই চুরির ঘটনায় বুধবার ডালখোলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালো।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ডালখোলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী গৈরিক গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ির দোতলার একটি ঘরে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। পুজো শেষে বাড়ির সদস্যরা নিচে নেমে আসেন। এর কিছু সময় পর বাড়ির পরিচারিকা কাজ করতে দোতলায় গিয়ে দেখতে পান ঘরের মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ঢুকে ঘরের আলমারি খুলে জিনিসপত্র হাতাহাতি করছে। বিষয়টি পরিচারিকার নজরে আসার পর সে নীচে নেমে বাড়ির গৃহিনীকে জানায়। এরপর গৃহকর্তা ও তার স্ত্রী ছাদের ঘরে গিয়ে দেখেন চোরটি তখনও ঘরে থাকা জিনিসপত্র জড়ো করতে ব্যস্ত। বুদ্ধিখাটিয়ে সে সময় বাড়ির গৃহিণী দীপান্বিতা গঙ্গোপাধ্যায় বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই পড়শীরা এসে চোরটিকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডালখোলা থানার পুলিশ চোরটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
গৈরিক বাবু জানান, “এদিন সকালে দোতলার ঘরে পুজো করা হয়েছিল। পুজোর পর আমরা নীচে নেমে আসি। ঘন্টাখানেক পরে পরিচারিকার নজরে আসে চোরটি। আমরা তৎক্ষনাৎ উপরে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে চোরটিকে নিয়ে যায়। বাড়ির চারপাশে সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও এই জনবহুল এলাকায় দিনের বেলায় চোর আসার ঘটনা সত্যিই বিস্ময়কর।” যেভাবে দিনের পর দিন শহরে চুরির ঘটনা ঘটছে তাতে সাধারণের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিন এলাকাবাসী। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুলিশ ধৃতকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ওই ব্যক্তির নাম মহঃ মুনাজির তার বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলার ডগরওয়া থানা এলাকায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ।