চ্যাংরাবান্ধা: রাজ্য কাবাডির অনুর্ধ্ব ১৪ দলে সুযোগ পেল চ্যাংরাবান্ধা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের তিন ছাত্রী। আগামী ২৭ জানুয়ারি কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে খেলা। এই কারণে আজই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিল তাঁরা । প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন এই খবর পাওয়ায় স্বভাবতই খুশির হাওয়া মেখলিগঞ্জ ব্লক জুড়ে।
চ্যাংরাবান্ধা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা অন্যতম প্রশিক্ষক (Trainer) এরশাদ হোসেনের কথায়, “পরিশ্রম সার্থক হল মনে হচ্ছে। চ্যাংরাবান্ধা হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় অভিভাবকদের সহযোগিতা না পেলে আমাদের পক্ষে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হত না। রাজ্য কাবাডি (Kabaddi) দলের বাছাই পর্বের ম্যাচ কোচবিহারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমাদের ছাত্রী রূপা বিশ্বাস, অদিতি রায় ও রত্না রায় এবার রাজ্যের কাবাডি দলে সুযোগ পেয়েছে। আজ আমরা চ্যাংরাবান্ধা থেকে আমরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হব। ২৭শে জানুয়ারি কলকাতায় খেলা রয়েছে। এখানে ভাল খেলে সিলেক্ট হলে ওরা ন্যাশনালে খেলতে পারবে। এর আগে আমাদের দুই ছাত্র আমির হোসেন ও মুর্শিদ আলম রাজ্য কাবাডি দলে খেলে এসেছে।”
রাজ্য কাবাডি দলে সুযোগ পাওয়া এই তিন ছাত্রীর মধ্যে রূপা বিশ্বাসে চ্যাংরাবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাবা ভরত চন্দ্র বিশ্বাস কাজ করেন চা বাগানে। অপর ছাত্রী অদিতি রায়, ধাপরার উপনচৌকি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাবা দ্বিজেন রায় কৃষিকাজ করেন। আরেক ছাত্রী রত্না রায় মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করে। তাঁর বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। রোজ দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেও তিনজন নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল। সকলের মূল লক্ষ্য একটাই, রাজ্যে ভালো খেলে তাঁরা জাতীয় পর্যায়ের খেলায় অংশ নিতে আগ্রহী। আগামীকালের খেলাকেই তাই পাখির চোখ করেছে তাঁরা।
রাজ্য কাবাডি দলে খেলার সুযোগ পেয়ে তিনজন ছাত্রীর পাশাপাশি গোটা মেখলিগঞ্জ ব্লকে বইছে খুশির হাওয়া। এই বিষয়ে মেখলিগঞ্জ ব্লকের বিডিও অরিন্দম মন্ডলের বক্তব্য, “আমাদের ব্লক থেকে এই তিনজন রাজ্য দলে সুযোগ পাওয়া নিঃসন্দেহে খুব ভাল খবর। ব্লক প্রশাসন ওদের পাশে রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় সুযোগ সুবিধা তেমন নেই। ওরা ফিরে এলে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওদের সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হবে।”