কলকাতা: কয়েকদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে ‘ইন্ডিয়া’ নামে নতুন বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি হয়। সেই প্রসঙ্গে শুক্রবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২৪ এর আগে ‘ইন্ডিয়া’ নামে জোট গড়তে পেরেছি। যা হবে এই ব্যানারে হবে। আমরা চেয়ারকে কেয়ার করি না। আমাদের চেয়ার চাই না। আমরা চাই বিজেপি দেশ থেকে বিতাড়িত হোক। আর বিজেপিকে নেওয়া যাচ্ছে না।’
পাশাপাশি এদিন মণিপুর নিয়েও সরব হন মমতা। ভাষণের শুরুতেই ধিক্কার দেন বিজেপির বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও স্লোগানকে। বলেন, কোথায় গেল আপনাদের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও স্লোগান? বিলকিসের ওপর যারা অত্যাচার করেছিল, তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। বক্সারদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিলেন না। আর মণিপুরে এই অবস্থা। তিনি বলেন, ‘মহিলাদের ক্ষতি করলে, জেনে রাখুন, আগামী নির্বাচনে মহিলারাই আপনাদের ক্ষমতাচ্যুত করবে।’ মমতার দাবি, ‘বিজেপি প্ল্যান ফেক ভিডিও করবে। প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, বিদেশে গিয়ে ভারতের জন্য কাঁদেন। আর দেশের মানুষ আপনার জন্য কাঁদছে।’
মমতা আরও বলেন, ‘সিপিএমের আমাকে নিয়ে অ্যালার্জি আছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর আমলে কী ছিল? পঞ্চায়েত ভোটের দিন ১৫ জন মারা গিয়েছে। আর তার আগে ১৪ জন মারা গিয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী।’ ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুক্রবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা জানালেন, এবার বাংলার সরকারের টাকাতেই যাতে ১০০ দিনের কাজ হয়, সেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মমতা সেই স্কিমের নাম দিতে চান, ‘খেলা হবে।’ তিনি জানান, যতদিন পর্যন্ত কেন্দ্র টাকা না দেবে, ততদিন পর্যন্ত জব কার্ড হোল্ডারদের সেই কাজ দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত রাজ্যে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে বদল আনেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি নেতাদের ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি বলব ব্লকে করতে। বুথ হিসেবে নয়। বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে করতে যাতে বাড়ির লোকের অসুবিধা না হয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা হয়।’ প্রসঙ্গত, এদিন ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শহিদ সমাবেশ করা হয়েছে। এবারও সমাবেশে জনারণ্য ধর্মতলা চত্বর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে এক হয়েছেন দলীয় নেতা, কর্মী, সমর্থকরা।