কালিয়াগঞ্জ: ১০০ দিনের কাজের (100 days work) বকেয়া টাকা মেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই টাকা পেতে প্রাপকদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃ্ণমূল (Tmc)। এলাকায় এলাকায় এই টাকা পাইয়ে দিতে শিবিরও করছে তারা। শিবির থেকে জবকার্ড হোল্ডারদের তথ্য সংগ্রহের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের ছবি দেওয়া ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। সেই ফর্মে আবার তৃণমূলের প্রতীক চিহ্নের ছবিও রয়েছে। শ্রমিকরা অনেকেই তৃণমূলের ক্যাম্পের সামনে লাইন দিয়ে সেই ফর্ম ভর্তি করছেন। প্রশাসনিক কাজে এই ভাবে দলীয় প্রতীক সম্বলিত ফর্ম বিলি করার বিষয়টি ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, উত্তর দিনাজপুরের বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বঞ্চিত শ্রমিকদের লাইনে এদিন দেখা গিয়েছে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য এমনকি কুশমণ্ডি ব্লকের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষককেও। যদিও সুধাংশু সরকার নামে ওই শিক্ষকের দাবি, তিনি তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন করেন, অন্য এক শ্রমিকের জন্য ফর্ম জমা দিতে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।
তৃণমূলের এই ধরনের উদ্যোগকে আইনবিরুদ্ধ বলে জানিয়েছেন এলাকার বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপির কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার অন্যতম কনভেনর গৌতম বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র সরকারের। প্রথমে রাজ্য সরকার নিজের নামে চালানো শুরু করেছে। এখন রাজ্যের শাসকদল মাঠে নেমে শ্রমিকদের বোকা বানাতে শুরু করেছে। এ ভাবে গ্রামীণ জনমানসকে বোকা বানানো এই দলের রক্তে রয়েছে। তাই এদের মন্ত্রীরা এখন জেলের ঘানি টানছে। আমরাও এই বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো। দরকার পড়লে বিডিও ও জেলাশাসককে লিখিতভাবে অভিযোগ করবো।’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিতাই বৈশ্য সাফাই দিয়ে বলেন, ‘শ্রমিকদের সহায়তা করতেই এই সহায়তা কেন্দ্র করা হয়েছে। আমরা চাই কোন বঞ্চিত শ্রমিক যাতে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়।’ তবে তৃণমূলের সহায়তা কেন্দ্র চালু করার খবর কানে থাকলেও ‘সহায়তা পত্র’ নামক ফর্ম বিলির কথা জানেন না কালিয়াগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত রায়। তিনি জানান, ‘ ফর্ম বিলি? কই জানি না তো। বিষয়টি দেখছি। তবে প্রশাসনিক ভাবে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের নাম আমরা যাচাই করতে শুরু করেছি।’