সানি সরকার, শিলিগুড়ি: আইপিএল যেন প্রকৃতিতেও। নয়তো এভাবে প্রায় প্রত্যেকদিন তাপমাত্রার রেকর্ডের ভাঙা-গড়া চলে? আবার সিকিম পাহাড়ে তাপপ্রবাহ ভাবা যায়! বাস্তবেই এখন সিকিমের তাদংয়ে তাপপ্রবাহ চলছে। জন্মলগ্নের পর এই প্রথম। তাদং থেকে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে ইতিমধ্যে ২৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে গ্যাংটক। তাপপ্রবাহের ঝোড়ো ইনিংসের সতর্কতা যথারীতি গৌরবঙ্গে অব্যাহত। আবার ডুয়ার্সে মুষলধারায় বৃষ্টি হলেও খানিক সময়ে কালো মেঘ ও হাওয়ার বাইরে যেন কিছুই জুটছে না শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায়। আবার গরমে হাঁসফাঁস করছে পাহাড়ও।
দহনজ্বালা জুড়াতে বৃষ্টি মিলবে কবে, তেমন সুনির্দিষ্টভাবে উত্তর মিলছে না আবহাওয়াবিদদের থেকে। আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলছেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে কোন এলাকায় বৃষ্টি হবে, তা কখনই আগাম বলা সম্ভব নয়। তবে পূর্বাভাস মিলিয়ে বজ্রগর্ভ মেঘের থেকে পাহাড়-সমতলের অনেক জায়গাতেই বৃষ্টি হচ্ছে।
সকাল থেকে বিকেল, বিরামহীনভাবে বেজে চলেছে আবহাওয়া দপ্তরের ফোন। আধিকারিক থেকে কর্মী, যিনিই ফোন তুলছেন, শুনতে হচ্ছে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে কবে? অধিকাংশ ফোন করছেন পাহাড়ের হোটেল ব্যবসায়ী। কেননা, স্বস্তির জন্য যাঁরা পাহাড়ে ছুটে এসেছেন, তাঁরা পাহাড়ি তাপ সহ্য করতে না পেরে ছাড়তে চাইছেন সিকিম ও কালিম্পংয়ের শহর এলাকা। পাহাড়ে যদি তাপপ্রবাহ দেখা দেয়, তবে কেই বা থাকতে চায়! বুধবারের মতো বৃহস্পতিবার সিকিমের তাদংয়ে (৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। উল্লেখ্য, পাহাড়ের ক্ষেত্রে তাপপ্রবাহের মাপকাঠি, ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম বা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সমতলের ক্ষেত্রে যা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম বা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। যথারীতি তাপপ্রবাহ রয়েছে গৌরবঙ্গে। মালদা, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের তাপমাত্রা অতিক্রম করেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৭ জুন পর্যন্ত এই তিন শহরের জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।