পুরাতন মালদা: বুধবার মালদার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোপন বৈঠকের অভিযোগ তুললেন উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। ওই গোপন বৈঠকে বেশকিছু বিডিও এবং থানার আইসিরাও ছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। খগেনের দাবি, গোপন বৈঠকটি জেলার কোনও একটি হোটেলে হয়েছিল। এর প্রমাণস্বরূপ সমস্ত তথ্য নিয়ে নির্বাচনের কমিশনে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার পুরাতন মালদার সাহাপুর ছাতিয়ান মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে হবিবপুর বিধানসভার বিধায়ক জুয়েল মুর্মু, এবং মালদা বিধানসভার বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহাকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। সেখানেই এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে এসেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করেন বিদায়ি সাংসদ। একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে সংসদ হিসেবে পাঁচ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। ওই শ্বেতপত্রে বিশেষভাবে রেল বিভাগের উত্তর মালদার জন্য ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে শুরু করে অমৃত ভারত প্রকল্পে রেলস্টেশনের আধুনিকরণের বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন। এছাড়াও সাংসদ তহবিলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা বয়ে গিয়েছে বলে দাবি। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন তিনি। বিশেষ করে গঙ্গা নদী ভাঙনে রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও আরও অন্যান্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের বঞ্চনার বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন।
সর্বশেষ যে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তাতে নির্বাচনে প্রশাসনিক গোপন আঁতাত এর বিষয়টি তুলে ধরেছেন তিনি । এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘জেলাশাসক থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার, বিডিও আইসিরা উপস্থিত থেকে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করছেন। যাতে নির্বাচনে ইভিএম দখল করে ভোট লুট করা যায়। এনিয়ে ১০ জনের নামে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।‘ যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিজেপি প্রার্থী ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় কাজ করছে তার মধ্যে। এই কারণে তিনি এ ধরনের অভিযোগ তুলেছেন। আমার পরামর্শ তিনি যাতে বিশ্রাম নেন।‘