উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসকে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নার জন্য লিখিত অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সেই জায়গাতে ধর্নার জন্য অনুমতি পেল পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার দিল্লির যন্তরমন্তরে চাকরি ক্ষেত্রে রাজ্যের বঞ্চনার অভিযোগে ধর্নায় বসেছেন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সোম এবং মঙ্গলবার দিল্লিতে ধর্না ও প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। আর তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে অমিত শায়ের পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপের কারণেই তৃণমূলকে যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসতে দেয়নি দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সেই একই জায়গায় রাজ্যের প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দিল্লি পুলিশের এই বিমাতৃসুলভ মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই প্রশ্নের নেপথ্যে রয়েছে একগুছ কারণ। দিল্লির পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। অমিত শা এই মন্ত্রকের দায়িত্বভার সামলান। সুতরাং যন্তরমন্তরে ধর্নার অনুমতি পেয়েছে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই তৃণমূল শিবিরে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন চাকরি প্রার্থীদের ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে কোণঠাসা করতেই দিল্লি পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলায় শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তায় রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। রাজ্যেও বহুবার তাঁরা বিক্ষোভ, ধর্না দেখিয়েছেন। কিন্তু ফল কিছুই হয়নি। এই আবহের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষাক্ষেত্রের একাধিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন জেলে। চলছে হাইকোর্টে একাধিক মামলাও।
