চাঁচল: চাঁচল ১ এর কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিজেদের গড় পুনরুদ্ধারের মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত দখলের জন্য পূর্ণ শক্তিতে লড়েছিল হাত শিবির। কিন্তু শেষে তীরে এসে ডুবল তরী। নিজেদের সদস্যদের ধরে রাখতে না পারার ফলে ফের গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নিল তৃণমূল।
২০ আসন বিশিষ্ট কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭টি আসনে জিতে তৃণমূল, ৮টিতে কংগ্রেস, ৩টিতে বিজেপি এবং ২টিতে সিপিএম। জোটসঙ্গী সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম থেকেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল কংগ্রেস। চলতি মাসের ৯ তারিখ বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ভেস্তে যায় কলিগ্রামে। পঞ্চায়েত দপ্তরের ভেতরে ভোটাভুটি চলাকালীন কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সদস্যরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। যার জেরে স্থগিত হয়ে যায় প্রক্রিয়া। ২৪ তারিখ পুনরায় বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়ন ছিল গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে। পঞ্চায়েতের উভয়দিকে ১০০ মিটার এলাকায় জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। উপস্থিত ছিলেন চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু। দুপুর ১২ টায় শুরু হয় বোর্ড গঠনের ভোট প্রক্রিয়া। কংগ্রেসের তিনজন জয়ী সদস্য আগেই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। ভোটাভুটি চলাকালীন কংগ্রেসের আরও দুই সদস্য তৃণমূলকে সমর্থন করেন। কুড়িটি ভোটের মধ্যে ১২টি ভোট পেয়ে প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের রেজাউল খান। উপপ্রধান নির্বাচিত হন মুক্তি দাস।
কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল খান বলেন, ‘কংগ্রেসের পাঁচ জন সদস্য আমাদের দিকে এসেছে। ওঁরা বুঝতে পেরেছিল কাজ করতে গেলে তৃণমূলে আসতে হবে। তাঁরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গত পাঁচ বছর আমি অনেক কাজ করেছি গ্রামের জন্য। আরও কাজ বাকি রয়েছে। এই পাঁচ বছরে সেই কাজগুলো করব।’ কংগ্রেসের জয়ী সদস্য আমিনুল হক জানান, এদিন প্রশাসন যেমন তৎপর ছিল প্রথমদিন থাকলে তাঁদের বোর্ড গঠন হয়ে যেত। প্রথমদিন তাঁদের পঞ্চায়েত দখলে যেত বলে তৃণমূল গণ্ডগোল করে তা ভেস্তে দেয়। পরে ভয় এবং প্রলোভন দেখিয়ে দল ভেঙেছে।