উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে শুরু করেছে তৃণমূল। মৃতের পরিবারকে ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিল দিয়ে বিতর্কে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দু’হাজার নোটের বান্ডিলের উৎস কী, তা নিয়েই এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, তৃণমূলের তরফেও মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে শুরু করেছে তৃণমূল। কিন্তু, ২০০০ টাকার নোট দিয়ে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ২০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার সত্ত্বেও সেই নোটের বান্ডিল দিয়ে আর্থিক সাহায্য করায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করছেন এক মন্ত্রী। এর জন্য সাধুবাদ জানাই। কিন্তু, একসঙ্গে এই প্রশ্নটা রাখছি দু হাজার টাকার নোটে দু লাখ বান্ডিলের উৎস কী।? আরও একটি টুইটে সুকান্তের বিস্ফোরক দাবি ‘বর্তমানে দু হাজার টাকার নোট বাজারে জোগান কম এবং তা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পরিবর্তন করার পদ্ধতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারগুলিকে দু হাজার টাকার নোট প্রদান করে তাদের সমস্যা কি বৃদ্ধি করা হলো না? দ্বিতীয়ত, এটা কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতি নয় কি?’
এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা এই দুই হাজারের বান্ডিল। এই অসহায় মানুষগুলোকে দুই হাজারের বান্ডিল বিয়ে আরও বিপদে ফেলেছে তৃণমূল।
বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ দু হাজার টাকার নোট দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার বলেছে দু হাজার টাকার নোট সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। তাই এর মধ্যে কোনও অনৈতিকতা নেই। বিজেপি নেতারাই কালো টাকার পাহাড়ে বসে আছে। সেই কারণে তাঁরা এই ধরনের অভিযোগ করছেন।’