সোনাপুর: আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের সম্ভবত সব থেকে বেশি বারের জনপ্রতিনিধি তিনিই। সাতবার জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব সামলানোর পর এবার তিনি অষ্টমবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আর এই অষ্টমবারও জয়ের ধারা ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ লক্ষ্মীকান্ত রাভার। ব্লকের প্রবীণ এই তৃণমূল নেতা আলিপুরদুয়ার-১ পঞ্চায়েত সমিতির ১৬ নম্বর আসন থেকে পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে নেমেছেন। প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে বাম বিজেপি সব দলের প্রার্থীই। তবে জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত উনি। এদিন লক্ষ্মীকান্ত বলেন, ‘এখনও একবারও ভোটে হার হয়নি। মানুষের আশীর্বাদ থাকলে এবারও জয় পাব। ‘সব সময় ধুতি পরে থাকা নেতার দেখা খুব একটা মেলেনা এই সময়। তবে লক্ষ্মীকান্তর পরনে সব সময় সাদা ধুতি পাঞ্জাবিই দেখা যায়।
ব্লকে তপসিখাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য পাটকাপাড়ার বাসিন্দা ওই প্রবীণ রাজনীতিবিদের রাজনীতির ময়দানে পা রাখা বামেদের হাত ধরে। আরএসপির টিকিটে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হন প্রথমবার। ওই বাম দল থেকে জিতেই ১৯৭৮ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত তপসিখাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রধানের দায়িত্বও সামলেছেন।
১৯৭৮ সাল থেকে ভোটের ময়দানে নামলেও ১৯৯৮ সালে বাবা এবং ২০০৩ সালে মা মারা যাওয়ার জন্য পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারেননি লক্ষ্মীকান্ত। ২০০৮ সালে আরএসপি লক্ষ্মীকান্তকে প্রমোশন দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট দেয়। এরপর ওই বছর এবং ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৬ সালে দল পরিবর্তন করে উনি তৃণমূলে নাম লেখান। ২০১৮তে আবার তৃণমূল ওকে টিকিট দেয়। দু’বার পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর পর এবার আবার ভোটের ময়দানে উনি।
তিনি জানান, পাটকাপাড়া এলাকায় প্রচুর রাস্তা, পোরো নদীর উপর সেতু, কালজানি, পোরো সহ বিভিন্ন নদীতে বাঁধ হয়েছে লক্ষ্মীকান্তর হাত ধরে। তবে এখনও বেশ কিছু কাজ না হওয়ার আক্ষেপও রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম তপসিখাতা ঘাটে সেতু। তিনি বলেন, ‘অনেক বার আন্দোলন বিভিন্ন জায়গায় দরবার করার পরেও ওই সেতু করতে পারলাম না। এবার জিতে আবার ওই সেতুর দাবিতে সবর হবো।’ আপাতত ভোট প্রচারে সারাদিন ব্যস্ত থাকছেন উনি। বাড়িতেও নেতা কর্মীরা আসছে। লক্ষ্মীকান্ত কিন্তু তাঁর প্রতিদিনের রুটিনেই আছেন। রাধা মদনের আরাধনা করে বাড়ি থেকে ভোট প্রচারে বের হন। ভোট জিততে ওই দেবতার আশীর্বাদ নাকি তাঁর কাছে অনেক গুরুত্বের।