সোনাপুর: তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করে গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল হয় আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পাতলাখাওয়া এলাকা। শনিবার রাতে পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২/৩৫ বুথের পঞ্চায়েত সাফিউল মিয়াঁকে মারধর করে তাঁর গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, পুরো বিষয়টি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, পাতলাখাওয়া নির্বাচনে সম্প্রতি বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি।
এদিন রাতে সাহেবপোঁতা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সাফিউল মিয়াঁকে আটকে বিজেপির নেতারা মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে কোনরকম পালিয়ে বাঁচেন সাফিউল। তাঁর পরিচিত লোকেরা তাঁকে উদ্ধার করে পাঁচকোলগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিন হাসপাতাল থেকে সাফিউল বলেন, ‘বিজেপির আট দশ জন ছেলে মিলে আমাকে মারধর করে। কয়েক জনকে চিনতে পারলেও সবাইকে চিনতে পারিনি। কোনরকমে পালিয়ে গিয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছি।’ এদিন রাতেই পাঁচকোলগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে থেকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয় সাফিউলকে।
ঘটনার খবর পেয়ে সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যর গাড়ি উদ্ধার করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আলিপুরদুয়ার থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। তৃণমূল কর্মীরা আবার রাতেই বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে। অন্যদিকে, পুরো ঘটনাটিকে তৃণমূলের পরিকল্পনা অথবা নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দল বলে কটাক্ষ করছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি সাধন সাহা বলেন, ‘ওই অঞ্চলে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মানুষ শান্তিতে আছে। আমরা এই রকম ঘটনায় যুক্ত নই। তৃণমূলের লোকেরা নিজেরাই এই রকম ঘটনা করে আমাদের নাম দিচ্ছে।’