দিনহাটা: কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে চওড়াহাট ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের শহর ব্লক সভাপতি বিশু ধর। সোমবার সকাল থেকেই জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সমর্থনে তৃণমূল শহর ব্লক কমিটি তরফে একাধিক কর্মসূচি করা হয়। এদিন তাঁরা থানাদিঘির কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে, কৃষিফার্ম সংলগ্ন এলাকায় মিটিং করেন।
এরপর দিনহাটার প্রাণকেন্দ্র চওড়াহাট বাজারে প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারাভিযান চালান। আর সেই প্রচারে গিয়ে এদিন বিশু চওড়াহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের বলেন, ‘বাজার থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যদি প্রচার ওঠে তাহলে বিপদে-আপদে নিশীথের কাছে যাবেন। সমস্যা হলে আমরা সমাধান করে দেব আর ভোটের সময় সমাজবিরোধী নিশীথকে ভোট দেবেন, এটা ঠিক নয়।’
এদিন সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরেও বিশুর বক্তব্য, ‘গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে দেখেছি এই চওড়াহাট বাজার থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হয়। অথচ ব্যবসায়ীদের পরিষেবা দেওয়ার সময় তৃণমূল সবার আগে থাকে। তাই এদিন ব্যবসায়ীদের বলা হয় তাঁরা যেন উন্নয়নের নিরিখে ভোট প্রদান করেন।’
যদিও এদিন বেছে বেছে দোকানে যাওয়া প্রসঙ্গে বিশুর স্পষ্ট মন্তব্য, ‘যদি মনে হয় বেছে বেছে দোকানে যাচ্ছি, তবে তাই যাওয়া হয়েছে। যে মানুষটাকে করোনার সময়ে পথে, অন্য বিপদে পরিষেবা দিয়েছি। আর তাঁরাই আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে তা মেনে নেওয়া যায় না।’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে হুঁশিয়ারির সুরে বিশু জানান, এর আগে নরম অনেক প্রচার হয়েছে। এবার নরমে গরমে প্রচার চলবে। যদিও তৃণমূলের এই প্রচারকে ঘিরে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে তৃণমূল শহরে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। আর সেক্ষেত্রে দিনহাটা চওড়াহাট বাজার একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল বলেই তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে। আর তাই এবারের ভোট প্রচারে চওড়াহাট বাজারকে প্রাধান্য দিচ্ছে তারা। যদিও বিশুর হুঁশিয়ারি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক অজয় রায়। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল বুঝতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি কোচবিহারেও সাধারণ মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই। আর তাই তাঁরা এভাবেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তবে এতে সেভাবে কিছু লাভ হবে না, বরং বিজেপির ভোট বাড়বে।’ যদিও বিশুর হুঁশিয়ারি বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।