রাঙ্গালিবাজনা: স্বামী ও স্ত্রীকে ‘রোটেশনে’ পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্বামী পঞ্চায়েত প্রধানের পদ ‘ভোগ’ করেছেন, স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। এবার ফের স্বামীকে ভোটের টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। দলে এই ‘পরিবারতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গোঁজ প্রার্থী হলেন যুব তৃণমূল নেতা। মাদারিহাটের খয়েরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসলামাবাদ গ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন দলের ব্লক সহ সভাপতি ইউসুফ আলি। তিনি আবার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী সদস্যা শরিফা বেগমের স্বামী। ইউসুফের বিরুদ্ধে বুধবার গোঁজ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন যুব তৃণমূলের খয়েরবাড়ি অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি সাবির আলম।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে আরএসপির টিকিটে জিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন ইউসুফ। পরে ২০১৬ সালে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০১৮ সালে তাঁর স্ত্রী শরিফা বেগমকে টিকিট দেয় তৃণমূল। এবার ফের ইউসুফকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। বুধবার সাবির বলেন, ‘একই পরিবার থেকে ১০ বছর ধরে পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে। ওই পরিবারের সদস্যকে ফের পঞ্চায়েতে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বারবার আপত্তি তুলেছিলাম। দলের ব্লক সভাপতিরও দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যা শরিফা কোনও কাজও করতে পারেননি। অথচ আমাদের আপত্তি কেউ কানে তোলেনি।’
এদিকে সাবিরের গোঁজ প্রার্থী হওয়ায় বেজায় চটেছে দল। দলের খয়েরবাড়ির অঞ্চল কমিটির সভাপতি জবাইদুল ইসলাম বলেন, ‘দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ গোঁজ প্রার্থী হলে কিংবা বিরোধীদের সাথে হাত মেলালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাবির মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে এখনও সময় রয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে সাবির ভুল স্বীকার করলে বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।’