উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ তিহাড়ে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল পুলিশের ওপরে বোমা মারার নিদান দিয়েছিলেন, এবার পুলিশকে প্রকাশ্যেই ধমকালেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লা। ভাঙড়ে এমএলএ কাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে উদ্যোক্তারা ভাঙড় কলেজের ছাদে বাজি পোড়াচ্ছিল। পুলিশ গিয়ে নিষিদ্ধ শব্দবাজি পোড়ানো বন্ধ করে। আর এর পরই বিধায়ক শওকত মোল্লা পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বলে অভিযোগ। যদিও এই গালিগালাজের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক শওকত মোল্লা। উলটো শওকতের দাবি, তিনি নিজে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ না করলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারত।
জানা গিয়েছে, ভাঙড় কলেজে এমএলএ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শওকত মোল্লা। অনুষ্ঠান শেষে ভাঙড় কলেজের ছাদে বাজি পোড়াচ্ছিল স্থানীয় কিছু যুবক। এরা প্রত্যেকেই শওকত মোল্লার অনুগামী বলে পরিচিত। অভিযোগ, একটি কলেজের ছাদে কিছু যুবক আতসবাজি জ্বালিয়ে আনন্দ উপভোগ করছিলেন। সেখান থেকে একটু আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে পাশে এ বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বাজি পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেয় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) ইন্দ্রবদন ঝাঁ ঘটনাস্থলে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি দেন। আর তারপরেই বিধায়ক মেজাজ হারান। সেই সময় ঘটনাস্থলেই বিধায়ক মাইক্রোফোন নিয়ে পুলিশদের কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। শওকত মোল্লাও দলের কর্মীদের বাজি পোড়াতে নিষেধ করেন।
এদিন মাইকে শওকতকে বলতে শোনা যায়, ‘কারা এসব বলছে? কেন বলছে? বাজি পোড়ানো বন্ধ করতে বলার অধিকার কে দিয়েছে পুলিশকে?’ শওকতের এমন ধমকে বিপাকে পড়েন পুলিশ অফিসাররা। যদিও পুলিশকে গালিগালাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করেন বিধায়ক শওকত মোল্লা। বিধায়ক দাবি করেন, তখন তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। কারণ পুলিশের তাড়া খেয়ে অনেকে ছাদ থেকে পড়ে যেতে পারতেন। পুলিশকে গালিগালাজ করার ঘটনায় বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।