উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘বাংলা দিবস’ নির্ধারণে বিধানসভায় উপস্থিত থেকে ভোট দিয়েছেন মাত্র ১৬৭ জন বিধায়ক। অনুপস্থিত ছিলেন ৪৮ জন বিধায়ক। তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে। কেন তাঁরা বিধানসভায় হাজির থাকতে পারলেন না? এর কৈফিয়ত চাইবে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
ধূপগুড়ি বিধানসভায় জয়ের পর বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৬। গত বৃহস্পতিবার দিন বাংলা দিবস নির্ধারণ এবং রাজ্য সঙ্গীতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। বিধানসভায় ‘বাংলা দিবস’ নির্ধারণে সম্প্রতি ভোটাভুটি হয় বিধানসভায়। এই ভোটে বিধানসভায় উপস্থিত থেকে ভোট দেন মোট ১৬৭ বিধায়ক। ভোটগ্রহন শেষে দেখা যায় অনুপস্থিত দলেরই ৪৮ বিধায়ক। অথচ এই ভোটাভুটিতে দলের প্রত্যেক বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে উপস্থিত ছিলেন সেখানে কেন কিছু বিধায়ক অনুপস্থিত, তাদের প্রত্যেকের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দল কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করবে। তৃণমূল পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শীঘ্রই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকব। ওই বৈঠকে বাংলা দিবস প্রস্তাবের দিন বিধানসভায় অনুপস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বিধায়কদের হাজিরা খতিয়ে দেখবে কমিটি।’
প্রসঙ্গত, গত ১ অগাস্ট বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি করে দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে ওই কমিটিতে রাখা হয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং বীরবাহা হাঁসদাকে। এবার তাঁরাই ৪৮ বিধায়কের অনুপস্থিতির বিষয়টি দেখবেন। আর অনুপস্থিতির কারণ জানবেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সিদ্ধান্ত হয়, পয়লা বৈশাখ হবে ‘বাংলা দিবস’। আর ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল….’ গানটি হবে রাজ্য সঙ্গীত।