হেমতাবাদ: মহিলা অ্যাম্বুল্যান্স চালক সহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বন্ধ রেখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হন চালকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পিংকি বর্মন নামে এক বধূ পায়ে ইনফেকশন নিয়ে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। এরপর রোগীর পরিজনরা অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য মহিলা চালক সেলিনা বেগমের সঙ্গে কথা বলেন। সেলিনা রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য তেল খরচ বাবদ ৫০০ টাকা চান। এনিয়ে যাবতীয় গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় রোগীর পরিবারের লোকজন সেলিনাকে অকথ্য গালিগালাজ করার পাশাপাশি তাঁকে মারধরও করে। তাঁকে বাঁচাতে গেলে অপর অ্যাম্বুল্যান্স চালক বিজয় বর্মনকেও মারধর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল গভীর রাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় রোগীর স্বামী সহ চারজনের বিরুদ্ধে বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি হেমতাবাদ থানার কাশিমপুর গ্রামে। মূল অভিযুক্ত বিজয় সিংহের বাড়ি করণদিঘি থানার রসাখোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খন্তা গ্রামে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন হেমতাবাদ থানার সামনে অ্যাম্বুল্যান্স রেখে বিক্ষোভ দেখান চালকরা।