চ্যাংরাবান্ধা: স্কুলের মধ্যেই দুই শিক্ষকের বচসা। আর তার জেরেই ভন্ডুল হয়ে গেল ক্লাস। উত্তেজিত দুই সহকর্মীর রুদ্রমূর্তি দেখে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় স্কুলে। ছুটে আসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু দুই শিক্ষকের মধ্যে গন্ডগোল এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে, শেষ পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ডাকতে বাধ্য হন। পুলিশ স্কুলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতি। সেই বৈঠকে শিক্ষক শিক্ষিকা ছাড়াও অনেক অভিভাবকরাও হাজির ছিলেন।
কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা হাইস্কুলের এই ঘটনায় শুক্রবার এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। স্কুলে দুই শিক্ষকের ‘যুদ্ধ লেগেছে’ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু অভিভাবকও ছুটে আসেন। তাঁরাও হতভম্ব হয়ে যান। শিক্ষকদের এই ধরণের আচরণের নিন্দাও করেন তাঁরা। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেকদিন থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছে। মাঝেমধ্যে গন্ডগোলও বেঁধে যাচ্ছে। এই ঝামেলার বিষয় ইতিপূর্বেও প্রকাশ্যে এসেছিল। এনিয়ে বিদ্যালয়ের তরফে বৈঠকও করা হয়েছিল।কিন্তু দ্বন্দ্ব যে মেটেনি সেটা এদিনের ঘটনাতে ফের প্রমাণিত হয়েছে। যার জেরে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনেও ব্যাঘাত ঘটছে এবং পড়ুয়াদের মধ্যেই এর যথেষ্ট প্রভাব পড়ছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিদ্যালয়েরই দুই শিক্ষক জাকির হোসেন এবং মহম্মদ সফিউল্লা নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। ওই দুই শিক্ষকের অবশ্য বক্তব্য, ‘শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেরাও অনুতপ্ত। এদিন আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত কিছুই মিটে গিয়েছে।‘ বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ বাবুলাল সিং এবং পরিচালন সমিতির সভাপতি হরিদাস বারই জানিয়েছেন, শিক্ষকদের কয়েকজনের মধ্যে অফিসিয়াল বিষয়ে মনোমালিন্য ছিল। এদিন যা হয়েছে সেটাকেও দ্বন্দ্ব বলা যাবে না। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এনিয়ে আর কোনও সমস্যা নেই।