কুমারগঞ্জ: উপযুক্ত নথি না থাকায় দুই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত পড়ুয়াকে ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিল স্কুল। সেই খবর উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত হওয়ায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে আজই ওই দুই পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া পঞ্চায়েত এলাকার পলাশী আদিবাসী পাড়ায়।
গত ডিসেম্বর মাসে পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চতুর্থ শ্রেণি পাশ করে দীপ মুর্মু ও শুভজিৎ হাঁসদা। বাবা মার সঙ্গে জানুয়ারিতে বেশ কয়েকবার গিয়েছিল আঙিনা বরইট হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য। কিন্তু আধারকার্ড না থাকায় বারবার ফিরে আসতে হয়েছিল তাদের। শুভজিতের বাবা জানান, বাইরে কাজ করায় তিনি আধারকার্ড করতে পারেননি। ছেলেরও হয়নি।এখন রাঁচি যাওয়ার কথা বলছে। যদিও শুভজিতের জন্ম সংশাপত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে তার বাবা। দীপ মুর্মুর বাবারও ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড আছে। কিন্তু ছেলের জন্ম শংসাপত্র এবং আধার কার্ড নেই। তাতেই তাদের ভর্তি আটকে যায়। আধার কার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে সরকারি কোনও সুবিধে মিলবে না।
স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে দুইজন দশ বছর বয়সি পড়ুয়া শুভজিত হাঁসদা এবং দীপ মুর্মুর দিন কাটছিল পথে পথে ঘুরে ঘুরে। তবে প্রশাসনিক আধিকারিকরা উদ্যোগ নেওয়ায় আজই তাঁরা স্কুলে ভর্তি হতে পারে। স্কুলে গিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাস করেছে। পেয়েছে স্কুলের নতুন পোশাক, নতুন বই, নতুন ব্যাগ। একসঙ্গে বসেই খেয়েছে মিড-ডে মিল। এদিন, শুভজিতের মা জলিতা হাঁসদা উত্তরবঙ্গ সংবাদকে ধন্যবাদ। স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়ে ছেলে খুব খুশি। তবে আধারকার্ড ও ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট যতদিন না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত সরকারি কোনও ভাতা বা বৃত্তি কিছুই মিলবে না বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এখন এই সমস্যা কীভাবে ঘুচবে তা নিয়ে নতুন চিন্তা শুরু হয়েছে ঐ দুই পরিবারের।