বালুরঘাট: ভারত-বাংলাদেশের নদী সমস্যা খতিয়ে দেখতে বালুরঘাটে এলেন ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ড. মেহবুব সানা। বাংলা ভাগের ফলে নদীর বাস্তুতন্ত্রে কতটা প্রভাব পড়েছে এবং তার সঙ্গে পরিবেশ ও নদীর ক্ষতির বিষয়ে গবেষণায় নেমেছেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন ওই গবেষণা দলের সদস্য বালুরঘাটের পরিবেশপ্রেমী তুহিনশুভ্র মণ্ডল।
মঙ্গলবার বালুরঘাটে এসে তিনি আত্রেয়ী নদী কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি, চকভাতশালা এলাকায় গিয়ে বাংলাদেশে এই নদী প্রবেশের মুখ খতিয়ে দেখেন। এদিন বিকেলে আত্রেয়ী নদীর সদরঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করেন। যেখানে তিনি দুই দেশের মধ্যে জল বন্টন চুক্তি বিষয়টি তুলে ধরেন। তিস্তা ও গঙ্গা নদী নিয়ে তিনি দুই দেশের নেতৃত্বকে বৈঠকের পরামর্শ দেন। বাংলাদেশের মোহনপুরের রাবার ড্যাম, যা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নদী প্রবাহিত হয় ও বালুরঘাটের চকভবানী এলাকায় স্বল্প উচ্চতার বাঁধের প্রসঙ্গ তিনি তুলে ধরেন। পরিবেশ কর্মী তুহিনবাবু জানান, ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আত্রেয়ী নিয়ে গবেষণা করছেন। অর্থাৎ এই নদী এখন আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। গঙ্গা ও তিস্তার জল বন্টন চুক্তির মতো এই নদীর জল ছাড়া ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চুক্তি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।