রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া অঞ্চলের দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারাণী বিদ্যাপীঠ, মহারাজা জগদীশনাথ হাইস্কুল, দেবীনগর প্রমোদা সুন্দরী হাইস্কুল, ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি অঞ্চলের ছত্রপুরে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে ভোট শুরু হয়। বুথ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোট শুরু করতে দেননি প্রার্থীরা। দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারাণী বিদ্যাপীঠের ৮৩ নং বুথে সিপিএম, বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হন। প্রায় ৪ ঘণ্টার পর রায়গঞ্জ থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে ভোট শুরু করান। তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে বহিরাগতদের যথেষ্ট ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। অন্যদিকে, দেবীতলা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। মাড়াইকুড়া অঞ্চলের ভিটি কাটিহার গ্রামের ৫৭ নং বুথের এক নির্দল জোট প্রার্থীর এজেন্ট আকতার আলির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বের। এই বুথে সিভিক ভলান্টিয়াররা ভোটকেন্দ্র পরিচালনা করছেন এমন অভিযোগ করে নির্দল প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোট বন্ধ করে দেন। তৃণমূল প্রার্থী ও কর্মীরা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সেইসময়ে নির্দল প্রার্থীর মাথা ফেটে যায়।
অন্যদিকে, ব্যালট লুট করে ভোটের আগের দিন ভোট করে নেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি কর্মী ও প্রার্থীদের হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে শুক্রবার গভীর রাতে রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর নেতৃত্বে বিজেপির জেলা সভাপতি ও অন্যান্যরা এসপি অফিসে গিয়ে সরব হন। কিন্তু এসপি দেখা না করায় তারা রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে এসে অবরোধ শুরু করেন। সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, ‘ভোট শুরুর আগে ভোট লুট হয়ে গিয়েছে। ব্যালট পেপার তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে। পুলিশ গিয়ে আমাদের কার্যকর্তাদের তুলে নিয়ে আসছে, প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু এসপি আমার সঙ্গে দেখা করার সৌজন্যতা দেখায়নি। তাই আমরা অবরোধ করেছি। ভোটের নামে প্রহসন চলছে। পুলিশ ও তৃণমূল কর্মীরা একসঙ্গে লুট করছে।‘