সোনাপুর: এই ভোট ঘোষণার আগে আগেই কাজের শুরু। ভোট ঘোষণার পর কাজের শেষ। পথশ্রী, রাস্তাশ্রী প্রকল্পে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের অন্য অঞ্চলের মতো চকোয়াখেতি অঞ্চলেও দুটো রাস্তা হয়েছে। দুটোর মধ্যে একটি রাস্তা হয়েছে খয়েরবাড়ি বাজার মোড় থেকে সোনাপুর কলোনি পর্যন্ত। রাস্তার কাজের গুণগত মান নিয়ে হাজার প্রশ্নর মাঝেও অনেকদিন পর পাকা রাস্তা যে সংস্কার হয়েছে সেটাতেই খুশি উত্তর সোনাপুর ও দক্ষিন চকোয়াখেতি গ্রামের অনেকেই। আবার অনেকেই বলছে রাস্তার নিম্নমানের কাজের ফলে শাসকদলের ভোট কমবে। এসবের মাঝেই উত্তর সোনাপুরে বুড়ি নদীর উপর নতুন সেতুর দাবি জোড়াল হচ্ছে।
ভোটের বদলে সেতু চায় ওই এলাকার বাসিন্দারা। এই যেমন এদিন কথা হচ্ছিল সুমন পাল নামে উত্তর সোনাপুরের এক যুবকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, সব দলের প্রার্থীদের গ্রামের লোকেরা নতুন সেতুর কথা বলছে। সবাই আশ্বাস দিচ্ছে সেতু করে দেওয়ার। আদতে সেটা কতটা কি হয় সেই নিয়ে যদিও প্রশ্ন রয়েছে সুমনের মতো অনেকের মনেই।
উত্তর সোনাপুর গ্রামের ওই সেতু বেহাল হয়েছে দীর্ঘদিন আগে। সেতুর মাঝখান বসে গিয়ে ধনুকের মত আকার নিয়েছে। সেতুর সামনের দুর্বল সেতুর বোর্ডও লাগানো হয়েছে। তবে সেতুর সংস্কার হয়নি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গ্রামবাসীরা যেমন ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে তেমনই সোনাপুর বিকে হাই, বিকে গার্লস এবং পীযুষ কান্তি মুখার্জি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ওই সেতু ব্যবহার করতে হয়। আগের গ্রামবাসীরা সেতুর দাবিতে সরব হয়েছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আবার সেই দাবি জোড়াল হচ্ছে। উত্তর সোনাপুরের আরেক বাসিন্দা রমেশ বর্মনের কথায়, ‘নেতারা তো অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। আমরা সেটা বিশ্বাসও করি। এবারও বিশ্বাস নিয়ে ভোট দেব। সেটা কতটা কি হবে জানি না। তবে সাধারণ ভোটারদের বিশ্বাসের দাম দেওয়া উচিত সব দলের নেতাদেরই।’