উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কার্যকলাপের প্রতিবাদে রাজভবনের বাইরে ধর্নায় বসল তৃণমূলপন্থী উপাচার্যদের সংগঠন ‘দ্য এডুকেশনিস্ট’স ফোরাম’। তারা রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন।এই ধর্না মঞ্চ থেকে দাবি করেন, ‘সংবিধান মেনে চলুন রাজ্যপাল। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘‘আইন মেনে কাজ করুন। আইন মেনে উপাচার্য নিয়োগ করুন।’
এই ধর্না কর্মসূচি নিয়ে গতকাল নিজেদের অবস্থান জানিয়েছিল তৃণমূলপন্থী উপাচার্যদের সংগঠন। তারা অভিযোগ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালন প্রক্রিয়া নিয়ে মিথ্যে কথা বলেছেন রাজ্যপাল।অন্যদিকে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে চরম সংঘাত রাজ্যপালের।এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যপালের ভিডিয়ো বার্তা যেন সেই দ্বন্দ্বকে আরও উসকে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য চাই উপাচার্য। বাংলার শিক্ষা মন্ত্রক উপাচার্য নিয়োগ করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাদের নির্দেশের সমালোচনা করে সেই সিদ্ধান্তকে বেআইনি আখ্যা দেয়।সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের পরই সমস্ত উপাচার্যকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে এক জন আচার্য হিসাবে আমি অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করি। যা নিয়ে সমস্যার শুরু। ওই নিয়োগকে শিক্ষা মন্ত্রক বলেছিল ভুল। কিন্তু হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, আমিই ঠিক।আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, কেন আমি সরকার মনোনীত উপাচার্যকে নিয়োগ করিনি। তার কারণ, সেই উপাচার্যদের কেউ ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত, কেউ ছাত্রীকে হেনস্থা করেছেন, কেউ রাজনৈতিক খেলা খেলছেন। তা হলে বলুন, এমন উপাচার্য কি নিয়োগ করা উচিত হত? পাঁচ জন উপাচার্য পদত্যাগের পর আমাকে নিজে থেকে জানিয়েছিলেন, তাঁদের জীবনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রকের মদতে সরকারি অফিসার এবং মুখ্যমন্ত্রীর আইএএস কর্তারা তাঁদের উপর চাপসৃষ্টি করছেন। তাঁদের আমি পদত্যাগ করতে বলিনি। তাঁরাই ভয় পেয়ে পদত্যাগ করেছিলেন।’’ যদিও শিক্ষক দিবসের দিন মমতা বলেছিলেন রাজভবনের বাইরে ধর্নায় বসবে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে ফিরে সে কথা শুনে রাজ্যপাল বলেছিলেন, সহকর্মী মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিবাদ জানানোর জন্য রাজভবনের ভিতরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন তিনি।