হরিশ্চন্দ্রপুর: গ্রামে গ্রামে চব্বিশ প্রহরে নাম সংকীর্তন করে বেড়ান অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। সেন্টারে আসার সময় হয় না তার। পরিবর্তে ওই সেন্টার চালান তার দিদি। এমনকি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার দেওয়া হয় না। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিজস্ব ভবন থাকলেও সরকারি চাল বাড়িতে রাখেন ওই কর্মী। এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মনোহরপুর গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকদের অভিযোগ, এই কেন্দ্রের কর্মী লক্ষ্মী বসাক বেশিরভাগ দিন সেন্টারে আসছেন না। তিনি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ওই সময় নাম সংকীর্তন করে বেড়ান। বদলে সেন্টার চালান তার দিদি ভারতী বসাক। যার ফলে হচ্ছে না পড়াশোনাও। তালিকা অনুযায়ী, নিয়ম মেনে ডিম দেওয়া হচ্ছে না শিশু এবং প্রসূতিদের। এই সেন্টারের নিজস্ব ভবন রয়েছে। কিন্তু রান্নার জন্য মজুত খাদ্য সামগ্রী সেখানে না রেখে নিজের বাড়িতে রাখেন লক্ষ্মী বসাক। এদিন লক্ষ্মী বসাককে সেন্টারে দেখতে পেয়েই ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় এবং অভিভাবকরা।
যদিও লক্ষ্মী বসাকের দাবি, তিনি ঠিকভাবেই আসেন। কখনও উপস্থিত না থাকতে পারলে তবেই তার দিদি আসেন ডিম দেওয়ার জন্য। খাবারও নিয়ম মেনে দেওয়া হয়। সঙ্গে তার পালটা অভিযোগ, এই সেন্টারের পার্শ্ববর্তী একটি মন্দির কমিটির লোকেরা চার বস্তা চাল চেয়েছিল। তিনি দিতে না চাওয়াই তারা এই মিথ্যা অভিযোগ করছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের সিডিপিও অলক মণ্ডল বলেন, ‘মনে হচ্ছে ওই পুজো কমিটি চালের বস্তা চেয়েছিল। সেটা দিতে অস্বীকার করার জন্যই এই সমস্যা। বাকি আর যা অভিযোগ আমি আরেকবার নিজে খতিয়ে দেখব।‘