ক্রান্তি: প্রায় ৪০ বছর ধরে প্রশাসনের কাছে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েও ব্যর্থ গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে সেতু নির্মাণে হাত লাগালো স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোদালকাটি গ্রামে পইরি নদীতে রবিবার থেকে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করলেন তাঁরা। কিন্তু এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ কিংবা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সেতু নির্মাণ করায় আগামীতে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে গ্রামবাসীদের।
জানা গিয়েছে, ক্রান্তি ব্লকের কোদালকাটি, ধরমবাড়ি ছাড়াও মাল ব্লকের নেওড়া বাগানের ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ পইলি নদী পার হয়ে ক্রান্তির বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকেন। নদীর ওপর সেতু না থাকায় রাতে অ্যাম্বুল্যান্স গ্রামে ঢুকতে পারে না। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বহুবার প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। নদীর ওপর প্রান্তে অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করিয়ে রেখে প্রসূতিকে কোলে করে নদী পার করিয়ে তারপর গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। বর্ষার দিনে নদীতে জল বেশি থাকায় পড়ুয়ারা স্কুল যেতে পারে না। বছরের পর বছর এই সমস্যা সহ্য করতে না পেরে মাস খানেক আগে এলাকায় সকল গ্রামবাসীরা একটা আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সেখানেই চাঁদা তুলে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিবার থেকে কাজ শুরু হয়। প্রায় ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা ওঠে। অনেক গ্রামবাসী নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। ক্রান্তির বিডিও প্রবীর কুমার সিনহা বলেন, ‘এভাবে সেতু নির্মাণ করা যায় না। কাজ বন্ধ করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।‘