উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রক্তে কোনও কারণে কোলেস্টেরল বেশি হয় বা বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলে পিত্তরসের ক্ষরণে বাধা আসে। তখন সেই পিত্তরস পিত্তথলিতে জমতে জমতে ছোট ছোট পাথর তৈরি করে। যা গলস্টোন নামে পরিচিত। এই অসুখ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। তা বলে ছেলেদের যে একেবারে হয় না তা নয়। গলব্লাডারে পাথর হওয়ার মতো ঘটনা এখন ঘরে ঘরে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, হরমোনের ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে, কোলেস্টেরল বাড়লে, দীর্ঘক্ষণ খালিপেটে থাকলে পিত্তথলিতে পাথর জমতে পারে। তবে পিত্তথলিতে পাথর জমার অনেক কারণ। শরীরে জলের ঘাটতি হতে দিলে চলবে না। ডায়াবিটিস থাকলেও সতর্ক হতে হবে, কারণ এই রোগে আক্রান্তদের গল ব্লাডারে পাথর জমার আশঙ্কা বেশি।
কোন উপসর্গগুলি দেখা দিলে আপনি জানতে পারবেন আপনার গল ব্লাডারে পাথর জমেছে? জেনে নিন…
১) পিত্তাশয়ে পাথর হলে মাংস বা তেল-মশলাদার খাবার খেলেই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়। সঙ্গে হয় বমিও হয় অনেকের।
২) মাঝেমাঝেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং সঙ্গে পেটে ব্যথাও হয়।
৩) পিত্তথলিতে পাথর জমার মূল লক্ষণ, পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছোনো। এরকম হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪) প্রস্রাবের রং দেখেও সতর্ক হতে পারেন। গাঢ় খয়েরি রঙের প্রস্রাব পিত্তথলিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে।
৫) গল ব্লাডারে পাথর জমলে অনেকেই জন্ডিসের মতো রোগে আক্রান্ত হন। জন্ডিস হলেও সতর্ক থাকতে হবে।