উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাধ্যমিকে যমজ ভাইয়ের কীর্তি! মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে যমজ ভাই অনীশ বারুই ও অনীক বারুই। এরা নরেন্দপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। দাদা অনীশ বারুই-এর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯, মেধাতালিকায় তাঁর স্থান চতুর্থ। আর মাত্র ২ নম্বর কম পেয়ে অর্থাৎ ৬৮৭ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন ভাই অনীক। দুই যমজ ভাইয়ের সাফল্যে খুশির হাওয়া নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ও বারুই পরিবারে।
দুই যমজ পুত্র যেন রত্ন! নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিক ছাত্র অনীক বারুই ও অনীশ বারুই। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় নাম তুলে নিয়েছে এই যমজ দুই ভাই। পড়াশোনা নিয়ে তাদের বাবা-মা কে চিন্তা করতে হয়নি কখনও। শান্ত স্বভাবের অনীশ ও অনীক নিজেদের আগ্রহেই পড়াশোনা করে থাকে। তবে এভাবে জোড়া সাফল্য আসবে, তা বোধহয় ভাবেনি তাদের পরিবার। দাদা অনীশ বারুই-এর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯, মেধাতালিকায় স্থান চতুর্থ। আর মাত্র ২ নম্বর কম পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন ভাই অনীক।
অনীশ ও অনীক জানায়, ছোটবেলা থেকেই তাদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরে কোনওদিনই খুব বেশি ফারাক থাকত না। একসঙ্গে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়ে খুশি দুজনেই। আবাসিক স্কুলে পড়াশোনা করার কারণে হস্টেলেই কাটে তাদের ছাত্রজীবন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ধরে পড়াশোনা কোনওদিনই তারা করেনি বলে জানিয়েছে দুই ছাত্র। সকালে ২ ঘণ্টা আর সন্ধ্যায় ২ ঘণ্টার পড়া, রাতে খাওয়ার পর আরও ঘণ্টা দেড়েকের পড়াশোনা। আর বিকেলে চুটিয়ে খেলাধূলা। বরাবরই এই নিয়মেই চলেছে তারা। চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্যেই তারা এগিয়ে চলেছে এই দুই যমজ ভাই।
অনীক-অনীশের বাবা জানান, রামকৃষ্ণ মিশনের আদর্শে দীক্ষিত হবে ওরা, এটাই চেয়েছিলাম। মহারাজদের কাছ থেকে শুনেই বুঝেছিলাম ছেলেরা ভাল ফল করবে, তবে এতটা ভাল ফল হবে ভাবতে পারিনি। তিনি জানান, তাঁর দুই ছেলেই চায় ডাক্তার হতে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন স্টেথো নিলেই কেউ ডাক্তার হয় না। ছেলেরা চিকিৎসক হলে, একটি দাতব্য চিকিৎসালয় খোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।