উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আদানিদের বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ’ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। এনিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে রীতিমতো আবেদনকারীকে ধুইয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, আদানিদের নিয়ে বিদেশি রিপোর্টকে কোন ভিত্তিতে বিশ্বাসযোগ্য বলে ধরা হবে। বিদেশি রিপোর্টকে খারিজ না করে প্রধান বিচারপতি আবেদনকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের কাছে জানতে চান আদানিদের বিরুদ্ধে কি প্রমাণ আছে?
ধনকুবের জর্জ সোরসের সংস্থা অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রোজেক্টের রিপোর্টে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে দুই বিদেশি বিনিয়োগকারীর মাধ্যমে ইনসাইড ট্রেডিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়। বিদেশি মিডিয়াও হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে হাতিয়ার করে আদানিদের বিরুদ্ধে সুর চড়ায়। যদিও সেবির তরফে আগেই এনজিওর ওই রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সেবির তরফে আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ‘যদি বিদেশি মিডিয়া রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে সরকার তার পদক্ষেপ নির্ধারন করে তাহলে সরকারি এজেন্সিগুলো কি করতে রয়েছে।’ বিদেশে প্রকাশিত রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতের রাজনীতির গতিপথকে নির্ধারন করার নয়া ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সেবির দাবি তাঁরা অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রোজেক্ট নামে ওই অসরকারি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য। কিন্তু ওই সংস্থার তরফে প্রশান্ত ভূষণের এনজিওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সুপ্রিম নির্দেশে সেবি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছেন। তুষার মেহতার দাবি, ২৪টির মধ্যে ২২টি সন্দেহজনক লেনদেন সেবির তরফে খতিয়ে দেখা হয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের কড়া অবস্থানে আদানিদের বিরুদ্ধে বিদেশি রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে নিশানা করার চেষ্টা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।