শিলিগুড়ি: বারবার একই জায়গায় টয়ট্রেন(Toy Train) লাইনচ্যুত হওয়ায় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (ডিএইচআর) (Darjeeling Himalayan Railway) রক্ষণবেক্ষণের প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটিরও বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে রেলকে। এই পরিস্থিতিতে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে সোমবারই পাহাড়ে গেলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিভিশনাল ম্যানেজার সুরেন্দ্র কুমার। সোমবার রেলের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে তিনি পাহাড়ে উঠেছেন। মঙ্গলবার ডিএইচআর সেকশন পরিদর্শনের কথা রয়েছে। কোথায় কোথায় খামতি রয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়নে কী প্রয়োজন সেইসমস্ত বিষয়ে রিপোর্ট নিয়ে রেল বোর্ডে পাঠাবেন তিনি। এদিন ডিআরএম বলেন, ‘পরিকাঠামো দেখার জন্যেই আমরা এসেছি। কোথায় কোথায় খামতি রয়েছে তার রিপোর্ট নেওয়া হবে।’
গত সপ্তাহে দু’দিন একই জায়গায় লাইনচ্যুত হয়েছে দার্জিলিং থেকে ঘুম টয়ট্রেনের জয় রাইড। এতে পর্যটকরা যেমন ক্ষুব্ধ তেমনই ইউনেসকোর প্রতিনিধিরা ক্ষুব্ধ। বিশ্ব ঐতিহ্য তকমাপ্রাপ্ত দার্জিলিং টয়ট্রেনের এহেন পরিস্থিতিতে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এদিন তড়িঘড়ি শিলিগুড়িতে চলে আসেন ডিআরএম।
রেল সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে তিনি তড়িঘড়ি পাহাড়ে গিয়েছেন। মঙ্গলবার সেকশন পরিদর্শনের পর ডিএইচআরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, ডিএইচআর একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করেছিল। সেই কমিটি একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্ট ডিআরএমের কাছে দেওয়া হবে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দার্জিলিং টয়ট্রেনের পুরোনো স্টিম ইঞ্জিনগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। একাধিক ইঞ্জিনের চেসিস খারাপ হয়ে যাওয়ার দরুন বারবার লাইনচ্যুত হচ্ছে। একাধিক ইঞ্জিনের বয়লারও খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই সেগুলি একপ্রকার অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। লাইন বদল এবং স্লিপার বদলের কাজ বছরখানেক আগে থেকেই শুরু করেছে রেল। সমতল থেকে কার্সিয়াং পর্যন্ত সেই কাজ প্রায় হয়ে এলেও দার্জিলিং পাহাড়ে বেশ কিছু জায়গায় এখনও সেই কাজ বাকি। কাঠের স্লিপার বদলে লাইনে লোহার স্লিপার বসানোর কাজ করতে হবে। এতেও সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে ওই কমিটির রিপোর্ট। টয়ট্রেনের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নে এখন কবে পদক্ষেপ করছে রেল সেটাই দেখার।